প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৬৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ২০ জন উত্তীর্ণ হয়। পরে দ্বিতীয় ধাপের প্রতিযোগিতায় ১০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তাদের মধ্যে যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জান্নাত আরা ও জান্নাতুল ফেরদৌস মুক্তা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুনতাকা রাইসা।
প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির পরিচালক ড. শাহাদাৎ হোসেন নিপু, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের দপ্তর সম্পাদক শিরিন ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি সংসদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক উপদেষ্টা কেএম সুজাউদ্দিন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি সংসদের ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা কামরুল ইসলাম জুয়েল।
বাংলা একাডেমির পরিচালক শাহাদাৎ হোসেন নিপু বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি সংসদের কার্যক্রম সত্যিই প্রশংসনীয়। তারা এমন একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে যা অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় না।
বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের দপ্তর সম্পাদক শিরিন ইসলাম বলেন, আবৃত্তির মাধ্যমে আমাদের অন্তরের সম্পর্কে সৃষ্টি হচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে তোমরা এসেছো এটা প্রশংসনীয়। এটা প্রমান করে তোমরা আবৃত্তিকে ভালোবাসা। আবৃত্তিকারকে আবৃত্তির মাধ্যমে প্রতিটি শব্দকে চোখের সামনে দেখতে হবে। যখন একজন আবৃত্তিকার শব্দটি দেখতে পাবে তখন দর্শকরাও তা দেখতে পাবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি সংসদের সভাপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন খাঁটি বাঙালির জীবনাচরণ ও বাঙালির হাজার বছরের পুরানো সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও সুকৃতিকে ধারণ করে তিনি নিজ অন্তরে স্থাপন করেছিলেন। কালে কালে তিনি শিল্প, সাহিত্য, দেশীয় সংস্কৃতিতে ঋদ্ধ এক পরিপূর্ণ বাঙালি যুবক হিসেবে বর্ধিত হন।
বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমি বাঙালি, বাংলা আমার দেশ, বাংলা আমার সংস্কৃতি। ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতির সমৃদ্ধি ছাড়া কোনো জাতিই উন্নতি করতে পারে না। আমি বিশ্বাস করি যে, জনগণই সব সাহিত্য ও শিল্পের উৎস।বঙ্গবন্ধুর এই শিল্প-সাংস্কৃতিক ভাবনাকে ত্বরান্বিত করতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি সংসদের ক্ষুদ্র প্রয়াস, বঙ্গবন্ধু আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি প্রতিযোগিতা- তিনি যুক্ত করেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি সংসদের উপদেষ্টা কামরুল ইসলাম জুয়েলের সভাপতিত্বে ও আবৃত্তি সংসদের সাধারণ সম্পাদক মো. রিয়াজুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বিভাগের আবৃত্তি প্রেমী শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ‘উচ্চারণে খুলি মগজের দুয়ার’ স্লোগানকে সামনে নিয়ে ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি সংসদ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংগঠনটি শুদ্ধ উচ্চারণ, আবৃত্তি ও উপস্থাপনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন সময় উচ্চারণ, আবৃত্তি ও উপস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালার ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে।
অর্থসংবাদ/এমআই