ডেঙ্গু প্রতিরোধে ওয়ালটনের সচেতনতামূলক কর্মসূচি

ডেঙ্গু প্রতিরোধে ওয়ালটনের সচেতনতামূলক কর্মসূচি
দেশে আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব। প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ভয়াবহ ডেঙ্গুর কারণে বহু মানুষ হারাচ্ছেন তাদের প্রিয়জন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ডেঙ্গু সম্পর্কে সচেতনতা আরো বাড়াতে এবং মশাবাহিত এই মারাত্মক রোগ প্রতিরোধে দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়েছে দেশের বৃহৎ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিক্রয় ও সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন প্লাজা।

‘মশার আবাসস্থল ধ্বংস করি, মশামুক্ত বাংলাদেশ গড়ি’- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গত সোমবার সারাদেশে একযোগে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করে ওয়ালটন প্লাজা। কর্মসূচির মধ্যে ছিলো জনসচেতনতামূলক র‌্যালি, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানসহ আলোচনা সভা আয়োজন ইত্যাদি।

‘ক্রেতা তুমি আপনজন, ঘোর বিপদেও তোমার আমরা সাথি সারাক্ষণ’- স্লোগানে ওই দিন বেলা ১১টায় ৬৪৫টি ওয়ালটন প্লাজা থেকে দেশের সর্বত্র একযোগে জনসচেতনতামূলক র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিতে ডেঙ্গু মশা নিধনের উপায়, ডেঙ্গু থেকে রক্ষার উপায়, ডেঙ্গু হলে করণীয় ইত্যাদি সম্বলিত ব্যানার-প্ল্যাকার্ডের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হয়। র‌্যালি থেকে গণসচেতনতামূলক লিফলেটও বিতরণ করা হয়।

র‌্যালির পাশাপাশি রাজধানীসহ সারাদেশে ওয়ালটন প্লাজার সংশ্লিষ্ট এলাকায় আশপাশের ঝোপঝাড়, স্কুল-কলেজ, নির্মাণাধীন ভবনসহ পানি জমে এমন স্থানগুলোতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ডেঙ্গু মশার সম্ভাব্য আবাসস্থলগুলো ধ্বংস করা হয়।



শিক্ষার্থীদের ডেঙ্গু সম্পর্কে আরো সচেতন করে তুলতে রাজশাহী, খুলনা, গোপালগঞ্জ, বগুড়া, রাজবাড়ী, বাগেরহাটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বিদ্যালয়গুলোতে আলোচনা সভার আয়োজন করে স্থানীয় ওয়ালটন প্লাজা।

দেশব্যাপী ওয়ালটন প্লাজার এসব সচেতনতামূলক কর্মসূচিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তি, শিক্ষার্থী ও প্লাজা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ওয়ালটন প্লাজার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) মোহাম্মদ রায়হান বলেন, ওয়ালটন প্লাজা শুধু ব্যবসাই করে না; মানুষের জন্য বিভিন্ন ধরনের সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ডও পরিচালনা করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় করোনা মহামারির সময় সারাদেশে ওয়ালটন প্লাজার মাধ্যমে বিনামূল্যে হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, সেফটি গগলস, পিপিই সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছিল। এছাড়াও সারাদেশে চলমান ওয়ালটন প্লাজার ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষানীতি’র আওতায় ইতোমধ্যে শতাধিক পরিবারকে ৩২ লাখ টাকার বেশি আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এ বছর ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। আমাদের সবার উচিত সচেতন হওয়া এবং আশেপাশের সবাইকে সচেতন করে তোলা। কেউ তার প্রিয়জনকে হারাবে, এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তাই ডেঙ্গু সম্পর্কে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ওয়ালটনের পক্ষ থেকে দেশব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। ভবিষ্যতেও এমন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

অর্থসংবাদ/এমআই

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

এনআরবি ডে অ্যাওয়ার্ড পেল বিকাশ
পাবনার সুজানগরে স্বপ্ন’র নতুন আউটলেট
জেসিআই বাংলাদেশ ২০২৪ লোকাল অফিসার্স ট্রেনিং সম্পন্ন
সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স ও প্রবাসী সেবায় সম্মাননা পেলো ইসলামী ব্যাংক
ব্র্যাক ব্যাংক ও মেটলাইফের মধ্যে ব্যাংকাসুরেন্স চুক্তি
এসবিএসি ব্যাংকের ৮৯তম শাখা উদ্বোধন
ব্র্যাক ব্যাংক রিডিং ক্যাফেতে ‘বানিয়ালুলু’ নিয়ে আলোচনা
তিন জেলায় বিকাশের পেমেন্ট মেলা
সাফা ‘ওভারঅল উইনার’ ও ‘গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করলো ওয়ালটন
আইএফআইসি ব্যাংকের কম্বল বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন