জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের উদ্যোগে প্রবীণ শিক্ষার্থীদের অগ্রায়ন ও নবীনদের বরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহ মো. নিস্তার জাহান কবির। প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও উপাচার্য (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ।
এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক তথ্য কমিশনার ও দৈনিক আজকের পত্রিকার সম্পাদক ড. মো. গোলাম রহমান, দৈনিক কালের কন্ঠের সম্পাদক শাহেদ মোহাম্মদ আলী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. আবুল হোসেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও উপাচার্য (চলতি দায়িত্ব) ড. কামালউদ্দীন আহমদ, সাংবাদিকতা বিভাগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় যতগুলো বিভাগ আছে তার মধ্যে অন্যতম একটি বিভাগ। দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা কাজ করছে। দেশের অগ্রযাত্রায় অবদান রাখছে। যেটা অত্যন্ত গর্বের একটা বিষয়। বাংলাদেশের অনেক সনামধন্য ব্যক্তিত্ব এ বিভাগেরই শিক্ষার্থী। তারা বিভিন্নভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত।
ড. মো. গোলাম রহমান বলেছেন, ডিজিটাল যুগে মানুষের ব্যক্তিসত্ত্বা ও সৃজনশীলতা বিলুপ্ত হচ্ছে। প্রযুক্তি মানুষের চিন্তা চেতনায় হস্তক্ষেপ করার ফলে স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ কমে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যতক্ষণ অনলাইনে থাকি ততক্ষণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের পর্যবেক্ষণ করে। সে অনুযায়ী আমাদের প্রতিটি কাজে হস্তক্ষেপ করে। যেটি আমরা দেখতে পায়, যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্দিষ্ট কিছু কন্টেন্ট ও বিজ্ঞাপন বারবার চলে আসে যেগুলো আমাদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করে। তাই প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবাইকে প্রযুক্তি বান্ধব ও দায়িত্বশীল হতে হবে।
গোলাম রহমান বলেন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য মানবীয় যোগাযোগ ও তথ্য নিয়ে কাজ করার অনেক সুযোগ আছে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজের অবারিত সুযোগ উন্মুক্ত রয়েছে। কিন্তু আমরা এ ব্যাপারে খুব কম লোকই অবগত আছি।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন দেশে সংবাদপত্রের প্রচার সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলেও এ প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু আশার বিষয় হলো, বাংলাদেশে নতুন নতুন সংবাদপত্র বাজারে আসতেছে। এছাড়াও প্রিন্ট পত্রিকার পাঠক কমলেও অনলাইনে ই-পেপারের গ্রহণযোগ্যতা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অর্থসংবাদ/এসএম