মঙ্গলবার সকাল থেকে সার্ভার বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন অনেকে। বিঘ্নিত হয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান, টেলিযোগাযোগ, পাসপোর্ট, ভিসাসহ সরকারি-বেসরকারি ১৭১টি প্রতিষ্ঠানের সেবা প্রদান। দেশের প্রায় ১২ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য রয়েছে এনআইডি সার্ভারে। চলতি বছর কয়েকবার এনআইডি সার্ভার সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল।
এর আগে, ১৬ আগস্ট সাইবার সতর্কতায় প্রায় ৩৮ ঘণ্টা বন্ধ থাকে এনআইডি সার্ভার। এ সময় গণমাধ্যমে হ্যাকিংয়ের খবর পেয়ে সার্ভার বন্ধ রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া গত জুনে মোবাইল ফোনের সিম বিক্রির জন্য ক্রেতার তথ্যের সত্যতা যাচাইসহ বিভিন্ন সেবার জন্য অপারেটররা এনআইডির সার্ভার ব্যবহারে সমস্যায় পড়েন।
দেশের প্রায় ১২ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য রয়েছে এনআইডি সার্ভারে। কিন্তু এখন পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই তথ্যভান্ডারের কোনো ডিজাস্টার রিকভারি সাইট (ডিআরএস) বা যথাযথ ব্যাকআপ (বিকল্প সংরক্ষণ ব্যবস্থা) নেই। ডিআরএস না থাকায় জাতীয় এই তথ্যভান্ডার অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
ইসির তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ কমিটির একটি বৈঠকেও বিষয়টি উঠে আসে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এনআইডির তথ্যভান্ডারে প্রায় ১২ কোটি ভোটারের কমবেশি ৩০ ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য আছে। ১৭১টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইসির এই তথ্যভান্ডার থেকে প্রতিনিয়ত তথ্য যাচাই-সংক্রান্ত সেবা নিচ্ছে।
সম্প্রতি রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের ওয়েবসাইট থেকে সম্প্রতি লাখ লাখ মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়। এরপর দেশে ডিজিটাল তথ্য ব্যবস্থাপনায় নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়টি আলোচনায় আসে।