তবে এ বিষয়ে পরীর স্বামী রাজ কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন গণমাধ্যমে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাই নাকি? আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম। ভাই আমি মাত্র ঘুম থেকে উঠেছি। এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। তাই কিছু বলতেও পারছি না।
এ বিষয়ে পরী চুপ থাকলেও এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে।
সেখানে পরীমণি লেখেন, নিশ্চয়ই এই স্ট্যাটাসের কথা মনে আছে অনেকেরই। সে বারও রাজ পাঁচ দিনের মাথায় বাসায় ফিরে আমার ফেসবুক থেকে এটা ডিলিট করে দিয়েছিল। তারপর এসব ঘটনা সে পুনরাবৃত্তি করেছে বার বার। সরি বলা, না খেয়ে থাকা, পা ধরে মাফ করে দাও আর হবে হবে না, এমনকি সুইসাইড’র মতো হুমকিতেও ব্লাকমেইলের শিকার হতে হয়েছে আমাকে। একই রকম ভুলের ক্ষমা কতবার করা যায় আমি জানি না। আমি শুধু সব ভুলে সুন্দর স্বাভাবিক একটা পারিবারিক সম্পর্ক চেয়েছিলাম। কিন্তু সে কখনোই এই সম্পর্কটাকে ধারণ করেনি। সবার সামনে আমার বৌ, আমার বাচ্চা করে বেড়ানো ভয়ংকর মানুষ একজন। যে কি না এই সম্পর্কটাকে শুধু নিজের স্বার্থে ইউজই করে গেল প্রতিনিয়ত।
তিনি আরও লেখেন, আমি এমন ভয়ংকর একজন মানুষকে বার বার সুযোগ দিয়েছি। সেও সুযোগ পেত কারণ আইনগতভাবে তার সাথে আমার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি। এ সবে বারবার আমি অসম্মানিত হয়েছি আপনাদের কাছেও। আমাকে ক্ষমা করবেন। আমি তাকে অফিসিয়ালি ডিভোর্স দিয়েছি। খুবই স্বাভাবিক ভাবে। এটাও তাকে আমার এক প্রকার ক্ষমা করে দেওয়া। নাহয় আমার সাথে যে অন্যায়গুলো করেছে তাতে তার জেল হওয়ার কথা।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: আমার ছেলের যাবতীয় খরচ, মানে ভরণপোষণ থেকে আগামীতে পড়াশোনা যা কিছু আছে সব আমি বহন করব। এত দিন যেভাবে করেছি। বাচ্চার ফুল গার্ডিয়ানশিপ এখন তার মা’র। এ বিষয়ে যা কিছু বলার আমার আইনজীবীরা বলবেন।
এর আগে এই নায়িকার আইনজীবী মো. শাহীনুজ্জামান বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করে বলেন, নারী আসক্তি রয়েছে রাজের। হাতে-নাতে ধরাও পড়েছেন তিনি কয়েকবার। এসব আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে ডিভোর্স ফাইল করেছেন পরীমণি। রাজ-পরীর দেনমোহর ছিল ১০১ টাকা। মুসলিম আইন অনুযায়ী তিন মাস পর এই ডিভোর্স কার্যকর হয়ে যাবে।
তবে এ বিষয়ে পরীর স্বামী রাজ কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন গণমাধ্যমে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাই নাকি? আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম। ভাই আমি মাত্র ঘুম থেকে উঠেছি। এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। তাই কিছু বলতেও পারছি না।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেন পরীমণি ও শরিফুল রাজ। মাত্র সাত দিনের পরিচয়ে তারা বিয়ে করেছিলেন। ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি সেই খবর প্রকাশ্যে আনেন তারা।
রাজের সঙ্গে সংসার জীবনের ১০ মাসের মাথায় পরীর কোলজুড়ে আসে পুত্র সন্তান। এর এক দিন পর ছেলের ছবিসহ নাম প্রকাশ করেন পরীমণি। তিনি জানান, রাজের সঙ্গে মিল রেখে ছেলের নাম রেখেছেন শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য।
দেড় বছরের দাম্পত্য জীবনে নানা ঘটনা আলোচনায় এসেছে। গত ২০ মে পরীমণির বাসা থেকে নিজের জিনিসপত্র নিয়ে বের হয়ে আসেন রাজ। এরপর ২৯ মে রাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সুনেরাহ, তানজিন তিশা ও নাজিফা তুষির সঙ্গে বেশ কিছু ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি-ভিডিও ফাঁস হয়।
সেই ঘটনায় দুজনের মধ্যকার সম্পর্কে আরও দূরত্ব তৈরি হয়। সেই দূরত্বের ধারাবাহিকতায় এবার বিচ্ছেদের পথেই হাঁটলেন আলোচিত এই জুটি।
অর্থসংবাদ/এসএম