রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন সচিবালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের আইন বিভাগ ও আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে যারা সহকারী জজ পদে আইন বিভাগের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের ইভা ফারজানা, ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের সেলিনা শেলী, ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ফাতেমা জান্নাত, ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের মারিয়া সুলতানা ও রুবাইয়া ইয়াসমিন, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আরিফ হোসেন এবং আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আসাদুজ্জামান নুর সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন।
১৬ তম বিজেএস সুপারিশপ্রাপ্ত মারিয়া সুলতানা জানান, ইচ্ছে ছিল শিক্ষক হওয়া। তবে বাবার পরামর্শে আইনে ভর্তি হই। সিনিয়র আপু-ভাইয়াদের সাফল্য আমাকে জুডিশিয়ারির জন্য অগ্রসর হতে অনুপ্রাণিত করেছে। আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহ তা’আলার নিকট কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। এ সাফল্যের জন্য দীর্ঘসময় পরিশ্রম ও কষ্ট করতে হয়েছে। যে কোন সমস্যায় আমি বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, বড় ভাই-বোনসহ সকলকে সবসময় পাশে পেয়েছি। এবং পরিবারের প্রত্যেক সদস্য আমাকে সাপোর্ট করেছিল যা আমাকে অনেক সাহস যুগিয়েছে।
১৬ তম বিজেএস সুপারিশপ্রাপ্ত আসাদুজ্জামান নূর জানান, আমার জুডিশিয়ারির পথচলা সহজ ছিলো না। আলহামদুলিল্লাহ! মহান আল্লাহ আমাকে এই অবস্থানটা দান করেছেন। এই অর্জনটা আমার মাকে উৎসর্গ করতে চাই। তাছাড়া, নানা প্রতিকূলতার মধ্যদিয়েও আমাদের শিক্ষকরা যেভাবে সাপোর্ট করেছেন তা অবর্ণনীয়। আমি রুটিনমাফিক পড়াশোনা ও পরিশ্রম করেছি। আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহযোগিতা ও ভালোবাসা পেয়েছি। সকলে প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল বলেন, তাদের এই সাফল্যে আমরা, আমাদের আইন বিভাগ অত্যন্ত খুশি। আগামীতে যতো জুডিশিয়াল পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হবে সেখানে আমাদের ছাত্র- ছাত্রীরা তাদের দেখে আরও বেশি অনুপ্রাণিত হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের আইন বিভাগের এই শিক্ষার্থীরা অনেক পরিশ্রমী, অনেক বেশি পড়াশোনাও তারা করেছে,তারা মেধাবীও বটে। আমার বিশ্বাস শিক্ষর্থীরা এভাবে পরিশ্রমের সাথে পড়ালেখা করে তবে আগামীতে জুডিশিয়াল, বার কাউন্সিলসহ সকল কম্পিটিটিভ পরীক্ষাগুলোতে অনেক ভালো করবে। আমরা আশাবাদী আমাদের শিক্ষার্থীদের সাফল্যের এই ধরাবাহিকতা অব্যহত থাকবে এবং ভবিষ্যতে তারা আরো ভালো করবে।
অর্থসংবাদ/এসএ