অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ফিউচারাইজার্স বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সিইও মো. সাখাওয়াত উল্লাহ শান্ত।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নাগরিক ঢাকার সভাপতি এম নাঈম হোসেন। সম্মানিত অতিথি ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা) এম এ আখের। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরাজী হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. আনোয়ার ফরাজী ইমন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট রাসিদা চৌধুরী নীলু, লুমিনাস গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. রাকিব হোসেন, দৈনিক কালবেলা অনলাইনের সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং ডেপুটি ম্যানেজার ও ডিজিটাল মিডিয়া ফোরামের প্রেসিডেন্ট মো. দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার মো. এরশাদ খান, নেক্সট প্রোডাক্ট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. মাজহারুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে কী-নোট স্পিকার ছিলেন নগদের হেড অব করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড পিআর সোলায়মান সুখন। স্পিকার ছিলেন দ্য মার্কেটিং ফ্যাক্টরি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী দৌলত মোহাম্মদ জাফরি, ফিউচার আইকন এর সিইও ইউসুফ ইফতি, প্রফেশনাল পাবলিক স্পিকার ফোরামের জেনারেল সেক্রেটারি মো. রফিকুল ইসলাম খান, অ্যাডভোকেট আল মামুন রাসেল, স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ার্স কমিউনিটি লিডার আল মামুন রাসেল, স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ার্স কমিউনিটি লিডার হাসান মাহমুদ, ওমেন এন্ট্রেপ্রেনিউর অ্যান্ড মোটিভেশনাল স্পিকার ঈশিতা আক্তার, মার্কেটিং কনসালটেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল মিডিয়া থট লিডার প্রলয় হাসান।
অনুষ্ঠানে ১২০ বার রক্তদানের জন্য ব্লাড সোলজার মো. নজরুল ইসলামকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়।
ডিএমএফ সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ভবিষ্যতে কালবেলা ও ডিজিটাল মিডিয়া ফোরাম -ডিএমএফ যৌথভাবে ফিউচারাইজার্স বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে। যেখানেই সুন্দর চিন্তা, সেখানেই আমরা আছি।’
সোলায়মান সুখন বলেন, ‘আমরা দেয়াল বানাবো না ব্রিজ বানাবো, কানেক্ট হবো, বলা এবং শোনার মাঝে আন্তঃযোগাযোগ করতে হবে। ভাষার দক্ষতা এবং কমিউনিকেশন সবার সঙ্গে রাখতে হবে। উদ্যোক্তাদের ওপর নির্ভর করে এখন বাংলাদেশ। আগে অভিজ্ঞতা না থাকলে ঠকার সম্ভাবনা বেশি। সময় না দিলে সফল বিজনেসম্যান হওয়া সম্ভব না। জীবনে শান্তি খুঁজতে হবে। ভালো হতে হবে, তাহলে ব্যবসায়ে আপনাকে খুঁজে নেবে।’
ইউসুফ ইফতি বলেন, ‘সেলস মার্কেটিং এ কাজ করার সময় আমাদেরকে ২১টি সাইকোলজিকাল ট্রিগার মাথায় রাখতে হবে সবমসময় । যখন যা করবেন পুরো মনোযোগ দিয়ে করবেন। একসাথে একাধিক না, যে সেক্টর এ কাজ করবেন সে সেক্টর এ অলরাউন্ডার হন সব সেক্টর এ নয়।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এম নাঈম হোসেন বলেন, ‘থিংক আউট অব দ্য বক্স একটি সুন্দর চিন্তার সম্মেলন। চিন্তা অনুযায়ী কাজ করলে আমাদের এই সমাজ আরও দক্ষ ও সুন্দর হয়ে উঠবে।’
সভাপতি সাখাওয়াত উল্লাহ শান্ত বলেন, ‘একটু বক্সের বাইরে চিন্তা করলেই দেখবেন অন্যকে জিতিয়ে বা কাউকে না ঠকিয়েও বিজয়ী হওয়ার সুযোগ রয়েছে। ছাত্রজীবন থেকে ব্যক্তিগত জীবন এবং পেশাগত ও উদ্যোক্তা জীবনেও আমরা বক্সের বাইরে গিয়ে চিন্তা কম করি। তাই আমাদের জীবনটা বক্সের ভিতরেই রয়ে যাচ্ছে। যেই যে ইন্ড্রাস্ট্রিতে আছি, সে তার বাইরের ইন্ড্রাস্ট্রিতে কী হচ্ছে, সেটা নিয়েও চিন্তা করতে হবে। তাহলেই সফলতা আসবে।’
সবশেষে অংশগ্রহণকারী সবাইকে সার্টিফিকেট, গিফট ও সম্মাননা স্মারক প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
অর্থসংবাদ/এমআই