বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়। এসময় নবীন শিক্ষার্থীদের ফুলেল শুভেচ্ছা, বিভিন্ন উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তফা আরীফের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া ও সমাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. মতিনুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া অন্যান্য অনুষদের ডিনবৃন্দ ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের অন্তর্ভুক্ত বিভাগের সভাপতিবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সকল শিক্ষকবৃন্দসহ সহস্রাধিক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সমাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ. কে. এম মতিনুর রহমান বলেন, তোমরা এখানে জ্ঞান অর্জন করতে এসেছো। যতদিন অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগাতে না পারবে, ততদিন সফলতা অর্জন করতে পারবে না। জ্ঞান শুধু আহরণ করা নয় এই জ্ঞানকে প্রশিক্ষণ করাতে হয়। প্রশিক্ষণ করলে দক্ষতা বৃদ্ধি পায় আর অর্জিত দক্ষতা যখন কোথাও প্রয়োগ করবে তখন এক ধরনের ইনোভেটিভ বা ক্রিয়েটিভ আইডিয়া তৈরি হবে। আর তা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে পারলেই দক্ষ ও পরিপূর্ণ নাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ডীন'স এওয়ার্ড নামে একটি সম্মাননা চালু করছে।
এ সময় নবাগতদের উদ্দেশ্যে কোষাধ্যক অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ তোমাদের যেভাবে ফুলদিয়ে তোমাদের বরণ করেছে এর প্রতিদান দিবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই যাত্রায় সময় বরাদ্দ মাত্র ৫ বছর। এ ৫ বছরে তোমরা যত বেশি জ্ঞান অর্জন করবে বাস্তব জীবনে সফলতা ঠিক সে হারেই আসবে। পরিবর্তনশীল সমাজের সাথে খাপ খাওয়াতে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করবে।
এ সময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মানে সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত সুনাগরিক হওয়া। শিক্ষার্থী হিসেবে করণীয়গুলো সম্পর্কে যথেষ্ট রেসপন্সিবিলিটি থাকতে হবে। চলাফেরা ও আচরণ ভিন্ন হতে হবে। সিজিপিএ এর উপর নির্ভরশীল না হয়ে নৈতিকতা ও একাডেমিক দায়িত্বের ভারসাম্য রাখতে হবে। শুধু সমাজবিজ্ঞান অনুষদে সীমাবদ্ধতা না রেখে বিশ্ববিদ্যালয়কে বুকে ধারণ করে আমরা মানুষ হবার প্রতিজ্ঞা করি। সুতরাং জ্ঞান অর্জন করাটাই মূখ্য বিষয় নয় বরং অর্জিত জ্ঞান বিতরণ করার সক্ষমতা আসল।
উল্লেখ্য, নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রতিটি বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। সেইসঙ্গে নবীন শিক্ষার্থীরা নিজেদের স্বপ্ন ছোঁয়ার অনুভূতি প্রকাশ করে। শেষ পর্বে, উপস্থিত সকলে জমজমাট ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
অর্থসংবাদ/এমআই