মূলত বিশ্বকাপ দলের সঙ্গে ভারত সফরের পরিকল্পনায় না রাখার কারণেই দল ছেড়ে চলে যান নাফিস। তার এ ঘটনার সঙ্গে তামিম ইকবালের সাম্প্রতিক ঘটনার কোনো মিল নেই বা যোগসূত্র নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
নাফিস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘আমি স্পষ্ট করতে চাই যে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় ওয়ানডের সময় আমার জাতীয় দল ছাড়ার পদক্ষেপটি আবেগের বাইরে ছিল৷ কারণ ২৬ সেপ্টেম্বর তৃতীয় ওয়ানডের দিন সকালে আমাকে জানানো হয়েছিল, আমি বিশ্বকাপে দলের সঙ্গে টিম ম্যানেজার হিসেবে থাকব না। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। আমিও মানুষ এবং অন্য সবার মতো আমারও আত্মসম্মান আছে।’
আমি অবশ্যই বিসিবি থেকে পদত্যাগ করিনি এবং আমার ছোট ভাই তামিম ইকবালের চলমান পরিস্থিতির সঙ্গেও আমার এই পদক্ষেপের কোনো সম্পর্ক ছিল না। আমার মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার ৬/৭ ঘণ্টা পর বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করা হয়।-যোগ করেন নাফিস।
‘সেদিন আমি বিসিবির সব রকম নিয়ম ও আচরণবিধি পুরোপুরি মেনেছি। মাঠে আসার আগে আমি বিষয়টি সবার আগে প্রধান কোচকে জানিয়েছি এবং বিসিবির সংশ্লিষ্ট অফিশিয়ালদেরও জানাই।’
‘আমি নিশ্চিত করতে চাই, সেদিন কোনো কাজই অর্ধেক সম্পন্ন করা হয়নি, যেমন ম্যাচের খেলোয়াড় তালিকায় সই করা, নিউজিল্যান্ড সিরিজে হিসাব বিভাগের কাগজপত্রের ঝামেলা মেটানো এবং বিশ্বকাপের জন্য আমাকে যে দৈনিক ভাতা দেওয়া হয়েছিল, সেটাও ফিরিয়ে দিয়েছি।’
‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এমন সব মুহূর্তে সম্মান প্রাপ্য এবং আসল ঘটনা না জেনেই মন্তব্য করা ঠিক না।’
‘নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ার এবং বাংলাদেশ দলের ম্যানেজমেন্টের অংশ হিসেবে সৎ ছিলাম। আমি নিশ্চিত করছি নিজের সেরাটাই দেব এবং সব সময় এটাই করব।’
অর্থসংবাদ/এমআই