বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চিহ্নিত কোম্পানিগুলোর বেশির ভাগের কোনো কারখানা নেই, কারখানা থাকলেও উৎপাদনে নেই। আবার কোনটি উৎপাদনে থাকলেও ম্যানেজমেন্ট জটিলতায় নেতিবাচক ধারায় রয়েছে কোম্পানিগুলো। দ্রুত এই কোম্পানিগুলোকে ভালো অবস্থায় ফিরে আনার পাশাপাশি পুঁজিবাজারকে স্থিতীশীল রাখতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, বিএসইসির চায় একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজার। ফলে বাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো ভালো করুক এই প্রত্যাশা আমাদের। যদি কোম্পানিগুলোর পারফমেন্স ভালো না হয়, তবে তারা বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফিরে দিয়ে কোম্পানিগুলো বন্ধ করে দিক। তাতে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়বে। আমরা বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা দেবো।
বিএসইসির তথ্য অনুসারে, মন্দ কোম্পানিগুলোকে চিহ্নিত করতে বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটাগরি চালু রয়েছে। এখানে ৫৩ কোম্পানি রয়েছে। এই কোম্পানিগুলোকে গ্রিন, ইয়েলো ও রেড তিন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। তিন ক্যাটাগরির মধ্যে গ্রিন কোম্পানি রয়েছে ১৩টি। কোম্পানিগুলো মধ্যে রয়েছে- এবি ব্যাংক, ফু-ওয়াং সিরামিক, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, লিবরা ইনফিউশনস, প্রাইম ইন্স্যুরেন্স ও রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, বিডি থাই, অ্যাপোলো ইস্পাত, খান ব্রাদার্স পিপি, সাফকো স্পিনিং, সালভো কেমিক্যাল, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল এবং জাহিনটেক্স।
ইয়েলো তালিকায় রয়েছে ২২টি কোম্পানি। কোম্পানিগুলো হলো- শ্যামপুর সুগার, ঝিলবাংলা, আলহাজ্ব টেক্সটাইল, অ্যারামিট সিমেন্ট, বাংলাদেশ সার্ভিস, বিচ হ্যাচারি, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স, ডেল্টা স্পিনার্স, দুলামিয়া কটন, ফারইস্ট ফাইন্যান্স, জেনারেশন নেক্সট, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, ইমাম বাটন, কেয়া কসমেটিকস, পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রাইম ফাইন্যান্স, সাভার রিফ্যাক্টরিজ, শাইনপুকুর সিরামিকস, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, তাল্লু স্পিনিং এবং উসমানিয়া গ্লাস শিট ফ্যাক্টরি লিমিটেড।