কর্মসূচি পালনে আর সরকারের অনুমতি নেওয়া হবে না- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, তাহলে সরকারের কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদন কেন করছেন তারা? আসলে তারা মুখে সরকারকে যতই ভুয়া বলেন, সরকারের অনুমতি ছাড়া সভা-সমাবেশ কিছুই করতে পারবেন না। আওয়ামী লীগ সরকার অবৈধ হলে এই সরকারের কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদন কেন করা হচ্ছে?
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি বলে, আওয়ামী লীগকে কবরস্থানে পাঠাবে। আমি বলি- সেদিন আর বেশি দূরে নয়, বিএনপির রাজনীতি কবরস্থানে যাবে।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে হবে। অন্যথায় কোনো অঘটন ঘটলে দায় সরকারকে নিতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম এবং এক দফার আন্দোলনসহ সবকিছুই ভুয়া।
তিনি বলেন, বিএনপির হত্যাকারীদের হাতে রক্তের দাগ রয়ে গেছে। বিএনপির হাতে এ দেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধ কিছুই নিরাপদ নয়। বিএনপি একাত্তরের বাংলাদেশ চায় না, তারা চায় খুলনায় খুন আর লুটপাটের বাংলাদেশ।
আগামীতে বিএনপির সঙ্গে রাজনীতির ময়দানে খেলতে আওয়ামী প্রস্তুত রয়েছে উল্লেখ করে বিএনপিকে মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে দলের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা ছাড়া এদেশ কারও হাতে নিরাপদ নয়। দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি সব থেমে যাবে যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে। শেখ হাসিনা সরকারে না থাকলে দেশ অন্ধকারের দিকে ফিরে যাবে।
কৃষকলীগের সভাপতি সমীর চন্দ্রের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতির সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন- কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ দলের শীর্ষ নেতারা।