8194460 সিটিও’র পদ হারানো জিয়াউল এখন ডিএসইর অডিট উপদেষ্টা - OrthosSongbad Archive

সিটিও’র পদ হারানো জিয়াউল এখন ডিএসইর অডিট উপদেষ্টা

সিটিও’র পদ হারানো জিয়াউল এখন ডিএসইর অডিট উপদেষ্টা

প্রায় এক বছর আগে বাধ্যতামূলক অবসরে যাওয়া কর্মকর্তাকে পুনরায় কাজে ফিরিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। তবে তথ্য প্রযুক্তিতে নিজের ক্যারিয়ার গড়া জিয়াউল করিমকে এবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজারের অডিট কমিটির উপদেষ্টা করা হয়েছে। দায়িত্ব অবহেলার কারণে ডিএসইর চিফ টেকনোলজি অফিসারের (সিটিও) পদ হারানো কর্মকর্তা এখন ডিএসইর অডিট কমিটিকে পরামর্শ দেবেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।


সূত্র মতে, আজ রবিবার (১ অক্টোবর) ডিএসইর অডিট কমিটির উপদেষ্টা পদে যোগ দিয়েছেন জিয়াউল করিম। অস্থায়ী ভিত্তিতে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত তিনি এ পদে দায়িত্ব পালন করতে পারেন বলে জানা গেছে। তবে অডিটে কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলেও জিয়াউল করিম কিভাবে এই পদে যোগ দিয়েছেন তা নিয়ে খোদ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তাদের মধ্যেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকে বলছেন, যে বিষয়ে তাঁর অভিজ্ঞতাই নেই, তিনি কিভাবে সেই বিষয়ে কর্মকর্তাদের পরামর্শ দেবেন? বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একজন অনভিজ্ঞ ব্যক্তি শেয়ারবাজারের মতো সংবেদনশীল জায়গায় অডিট উপদেষ্টা হলে সেটি দেশের পুঁজিবাজারের জন্য ক্ষতি ছাড়া মঙ্গলজনক কিছু বয়ে আনবে না।

জানা গেছে, ২০২২ সালের ৩১ অক্টোবর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ডিএসইর তৎকালীন সিটিও জিয়াউল করিমকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর থেকে প্রায় এক বছর তিনি বাধ্যতামূলক ছুটিতেই ছিলেন। এই সময়ে প্রতি মাসে তিনি বেতন-ভাতা বাবদ ডিএসই থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকা গ্রহণ করতেন। অর্থাৎ গত এক বছরে জিয়াউল করিম কোন কাজ না করেই ডিএসই থেকে কোটি টাকার বেশি বেতন-ভাতা গ্রহণ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই ফের ভিন্ন পদে যোগ দিয়েছেন জিয়াউল করিম।

সূত্র জানায়, অডিট অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির দায়িত্ব হচ্ছে- সংশ্লিষ্ট আর্থিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত ঝুঁকি মূল্যায়ন, বিশ্লেষণ এবং আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য পরিচালনা পর্ষদকে পরামর্শ দেবে। এছাড়াও এ কমিটি পর্যায়ক্রমে এক্সচেঞ্জের অভ্যন্তরীণ আর্থিক খরচ এবং ব্যবস্থাপনা নিরীক্ষার জন্য দায়ী থাকবে। আর এমন গুরুত্বপূর্ণ কমিটির উপদেষ্টা পদেই যোগ দিচ্ছেন ডিএসইর সাবেক টেকনোলজি অফিসার জিয়াউল করিম।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। ডিএসইর বোর্ড চাইলে যে কাউকে যে কোন পদে নিযুক্ত করতে পারে। এখানে কারও কিছু বলার নেই। তবে কোন পদে কাউকে নিযুক্ত করার আগে অবশ্যই তাঁর অভিজ্ঞতা বিবেচনা করা দরকার। কেননা, শেয়ারবাজারের মতো সংবেদনশীল জায়গায় অনভিজ্ঞ লোক নিয়োগ করলে সেটি বাজারের জন্যই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র অর্থসংবাদকে বলেন, ডিএসইর চেয়ারম্যান, স্বতন্ত্র পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, চিফ রেগুলেটরি অফিসার পদের জন্য ডিমিউচুয়াইলাজেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী কমিশনের অনাপত্তি লাগে। অন্যান্য পদের ক্ষেত্রে বিএসইসির অনুমোদনের প্রয়োজন নেই। যে কারণে কাকে কোন পদে নিয়োগ দিয়েছে, সেটি ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের এখতিয়ার।

এ বিষয়ে জানার জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবুর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের জন্য একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ইবনে সিনা ফার্মার লভ্যাংশ ঘোষণা
নগদ লভ্যাংশ পাঠিয়েছে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স
তিন ব্যাংকের ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন
ব্লকে ৬১ কোটি টাকার লেনদেন
জিকিউ বলপেনের সর্বোচ্চ দরপতন
দর বৃদ্ধির শীর্ষে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক
লেনদেনের শীর্ষে সোনালী পেপার
সূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় লেনদেন ৬৯৬ কোটি টাকা
চারদিনের ছুটিতে ব্যাংক ও পুঁজিবাজার
দুই কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন