বুধবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ ও ভারতের সহযোগিতামূলক যৌথ উদ্যোগের অংশ হিসেবে সাইবার-মৈত্রী ২০২৩ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্র যদি শক্তিশালী হয় এবং সেই রাষ্ট্র যদি পাশে থাকে তখন আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। বাংলাদেশ ও ভারত যখন একসঙ্গে শক্রুর মোকাবিলা করে তখন লড়াইটা অনেক সহজ হয়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গে যুদ্ধ করেছে। কোভিড-১৯ মহামারি একসোঙ্গে মোকাবিলা ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণেও দুদেশ একসঙ্গে কাজ করেছে। আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ ভিশন বাস্তবায়নে আমরা একসঙ্গে কাজ করবো।
ভারতের সাইবার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিমকে (সিইআরটি) পাশে পেয়ে সাইবার হামলা মোকেবিলা ও অপরাধ দমনে আমরা অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী বলেও তিনি জানান।
পলক বলেন, বর্তমান আন্তঃসংযুক্তির বিশ্বে প্রযুক্তি রৈখিক গতির পরিবর্তে সূচকীয় গতিতে অগ্রসর হচ্ছে এবং তা আমাদের জন্য বিশাল সম্ভাবনা ও সুযোগ তৈরি করছে। এর পাশাপাশি সাইবার জগতের কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন রাখার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। এমন বাস্তবতায় সাইবার হামলা ও হুমকি মোকাবিলায় সাইবার মৈত্রীর মতো আরও উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
বিসিসি’র নির্বাহী পরিচালক রনজিত কুমারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা, আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, সিইআরটি, ইন্ডিয়া এর সিনিয়র ডিরেক্টর এস এস শর্মা।
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের এনহান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই) প্রকল্প আয়োজিত তিন দিনের প্রশিক্ষণে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অবকাঠামোতে কর্মরত আইটি-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেন ভারতের সিইআরটি’র বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশের ৩২টি সিআইআই থেকে ৬৪ জন এ অনুশীলনে অংশ নেন।