তিনি বলেন, রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টমেন্টস ট্রাস্ট নামে যে নতুন প্রোডাক্ট আনতে যাচ্ছে, তা হবে অনেকটাই ক্রিপ্টো অ্যাসেটের মতো। আশা করছি, চলতি বছরের মধ্যেই রিটের জন্য বিধিমালা প্রণয়নের কাজ শেষ হবে।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) আয়োজিত বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ উপলক্ষে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএসইসি কমিশনার বলেন, বিশ্ব ডিজিটালের দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশের সবখানে এখন ফোর-জি ইন্টারনেট সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। সবার কাছে এখন মোবাইল ফোন রয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে খুব শিগগিরই ক্রিপ্টো অ্যাসেট আনা হবে। যেসব জিনিসের লাইসেন্স থাকবে না সেরকম কোন কিছু বাংলাদেশে আমরা চালু হতে দেবো না। এক্ষেত্রে দেশের সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
শুধু ক্রিপো অ্যাসেট আনলেই হবে না, আমাদের এই পণ্য পরিচালনার জন্য ডিজিটাল ব্রোকারেজ হাউজেরও প্রয়োজন হবে। আমরা সেদিকে লক্ষ্য রাখছি- তিনি যুক্ত করেন।
তিনি বলেন, ক্রিপ্টো কারেন্সি বিশ্বের প্রায় সব দেশে অবৈধ। বিটকয়েন জাতীয় ক্রিপ্টো প্রোডাক্টের বিপরীতে কোনো অ্যাসেট-ব্যাকআপ থাকে না। এর কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থা বা মনিটরিং কাঠামো নেই। তাই এরকম কোন কারেন্সি বাংলাদেশে আমরা কখনোই বৈধতা দিবো না।
কমিশনার বলেন, আমাদের অর্থনীতি এখন সাড়ে ৪০০ বিলিয়ন ডলারের। অনেক ইউরিপের দেশের অর্থনীতিও আমাদের মতো এত বড় না। বিশ্বের মোট কার্বন নির্গমনের মাত্র দশমিক ৭ শতাংশ বাংলাদেশ থেকে হয়। এরপরেও আমরা সাসটেইনএবল ফাইন্যান্স করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। দেশের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব বন্ড ইস্যু করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিএসইর পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এফসিএমএ। স্টক এক্সচেঞ্জটির একাধিক পরিচালক আলোচনায় অংশ নেন।
অর্থসংবাদ/এমআই