বড় শিল্প স্থাপনে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত দক্ষিণ কোরিয়া

বড় শিল্প স্থাপনে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত দক্ষিণ কোরিয়া

দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। এ সময় স্থানীয়ভাবে বড় বড় শিল্প-কারখানা স্থাপনে জোর দেয়া প্রয়োজন। এ ব্যাপারে দক্ষিণ কোরিয়া সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছে।’


বৃহস্পতিবার (০৫ অক্টোবর) শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপির সঙ্গে তার অফিসে সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।


সাক্ষাৎকালে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অবকাঠামো খাতে প্রভূত উন্নতি সাধন করেছি। এখানে বিনিয়োগ করার অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারীরা এ সুযোগ নিতে পারে। আমরা নিজস্ব ব্র্যান্ডের গাড়ি তৈরির চেষ্টা করছি। তিনি এ বিষয়ে সহযোগিতা কামনা করেন।’


দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত এ ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্কে হুন্দাই গাড়ি উৎপাদন শুরু হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার আরেক বিখ্যাত কোম্পানি কিয়া বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করতে আগ্রহী।’


রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ‘শ্রমশক্তি হিসেবে যারা দক্ষিণ কোরিয়া যায়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তারা ভাষা দক্ষতায় দুর্বল। কাজেই জনবল পাঠানোর সময় তাদের কারিগরি দক্ষতার পাশাপাশি ভাষাগত দক্ষতা অর্জন করাও জরুরি।’


বাংলাদেশে কর্মরত কোরিয়ান ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও টেকনিশিয়ান বা কর্মীদের ভিসা জটিলতার কারণে বিভিন্ন সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়। তারা যদি তিন মাসের পরিবর্তে দীর্ঘমেয়াদি ভিসা পায় তাহলে তাদের কার্যক্রম চালানো আরো সহজ হবে। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রদূত শিল্পমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।


দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে গত বছর দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য নতুন উচ্চতায় পৌঁছে। আগের বছরের তুলনায় দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়।


কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ৩ দশমিক শূন্য ৩৫ বিলিয়ন ডলার। ২০২১ সালে বাণিজ্য ছিল ২ দশমিক ১৮৮ বিলিয়ন ডলার। গত বছর কোরিয়ায় ৬৭৮ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করেছে বাংলাদেশ। তার আগের বছর রফতানির পরিমাণ ছিল ৫৫২ মিলিয়ন ডলার।


অন্যদিকে, ২০২১ সালে কোরিয়া থেকে ১ দশমিক ৬৩৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছিল বাংলাদেশ। ২০২২ সালে আমদানি ৪৪ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ২ দশমিক ৩৫৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়।


২০০৭ সালে দেশটিতে বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ প্রথমবারের মতো ১০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছিল। ২০১১ সালে তা ২০০ মিলিয়ন এবং ২০১৩ সালে ৩০০ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়।


বেশ কয়েক বছর স্থবির থাকার পর করোনা মহামারী চলাকালে ২০২০ সালে কোরিয়ায় রফতানি আগের বছরের তুলনায় ২ দশমিক ৯ শতাংশ কমে ৩৯৩ মিলিয়ন ডলার হয়।


কোরিয়ায় বাংলাদেশের প্রধান রফতানি পণ্য হলো তৈরি পোশাক, খেলাধুলার সামগ্রী ও ব্রোঞ্জ স্ক্র্যাপ। ২০২২ সালে কোরিয়ায় মোট রফতানির ৮৩ দশমিক ২ শতাংশ ছিল তৈরি পোশাক।


অর্থসংবাদ/এসএম

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পোশাকখাতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে, কমে গেছে চাহিদা
২০২৩ সালে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ১৩ শতাংশ
২০২৩ সালে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে ১০ শতাংশ
ইভ্যালিতে বড় অফার আজ, ১০ টাকায় মিলবে পাঞ্জাবি
হিলিতে আদা-সবজিতে স্বস্তি, বাড়তি দামে রসুন
বাংলাদেশে বিনিয়োগের ঐক্যমতে শেষ হলো গ্লোবাল বিজনেস কনফারেন্স
১১ মাসে ৪৩ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানি
২০২৪ সালে ৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ পাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর
আইসিএবির নতুন সভাপতি ফোরকান উদ্দীণ
বিসিক শিল্পনগরীতে এক হাজার ৯৮ প্লট খালি