আজ বুধবার (১১ অক্টোবর) পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা জানান সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে মন্ত্রীর দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সাংবাদিকদের প্রকল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে অবহিত করা হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, করোনা ও ডেঙ্গুসহ আরো নানা ধরনের রোগের টিকা তৈরি হবে। আগামীতে আরো নানা ধরনের ভাইরাস আসতে পারে। সেজন্য এখন থেকে প্রস্তুতি দরকার। সরকার সেজন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। সেখানে এডিবি ৩৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার ঋণ দেবে। টাকার অঙ্কে ৩ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে অর্ধেক স্বল্প সুদে ও অর্ধেক বাজার দরের কাছাকাছি সুদ থাকবে। প্রকল্পটি যাতে দ্রত অনুমোদন করিয়ে দেওয়া হয় সেজন্য এডিবি অনুরোধ করেছে।
এম এ মান্নান বলেন, আমার পক্ষ থেকে কোনো কমতি থাকবে না। এটি ভালো উদ্যোগ। এডিবি আমাদের ভালো বন্ধু। যত দ্রুত অনুমোদন করা যায় সেই ব্যবস্থা করা হবে।
সঙ্গে যোগ করেন, এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেছেন, গত অর্থবছর বাংলাদেশে তার সবচেয়ে ভালো সময় কেটেছে। কাজের পরিবেশ, অর্থছাড়, প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং ঋণ অনুমোদন সব ক্ষেত্রেই ভালো সময় পার করেছেন তিনি।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং বলেন, গত অর্থবছর বাংলাদেশের জন্য ৩৫০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২০০ কোটি ডলার স্বল্প সুদে ও ১৫০ কোটি ডলার বাজার দরের কিছু কম সুদের ঋণ।
তিনি আরো বলেন, এলডিসি উত্তরণের পরবর্তী পর্যায়ে আগামী ২০২৬ সালের পর বাংলাদেশ আর স্বল্প দামে টিকা কিনতে পারবে না। তখন আন্তর্জাতিক বাজারদর অনুযায়ীই টিকা কিনতে হবে। এজন্য এখন থেকে দেশেই যাতে বাংলাদেশ টিকা তৈরি করতে পারে সেজন্য সক্ষমতা বাড়ানোর প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এটি যাতে দ্রত অনুমোদন হয় সেটিই আমরা চাই।
অর্থসংবাদ/এমআই