কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আবেদন পাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, জরিমানা করা ব্যাংকগুলোর মধ্যে কয়েকটি ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের কাছে জরিমানা মওকুফের জন্য আবেদন করেছে। পরিচালনা পর্ষদের পরবর্তী সভায় এসব আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সবগুলো ব্যাংককে একই অভিযোগে জরিমানা করা হয়নি উল্লেখ করে এ কর্মকর্তা বলেন, ব্যাংকগুলোর অধিকাংশকেই বেশি দামে রেমিট্যান্স সংগ্রহ, অন্য ব্যাংকের কাছে বা গ্রাহকদের কাছে ডলার বিক্রির কারণে জরিমানা করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, জরিমানা মওকুফ পেতে তারা আবেদন করতে পারে।
ব্যাংকগুলো নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে জরিমানা মওকুফের আবেদনে বলেছে, ডলার কেনাবেচার পুরো প্রক্রিয়ায় ব্যাংকগুলোর হেড অব ট্রেজারি ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হননি। তাই তারা আরোপ করা জরিমানা মওকুফ পেতে চান।
জরিমানা মওকুফে এখনো আবেদন করেনি, এমন ব্যাংকগুলোও আবেদনের পরিকল্পনা করছে বলে জানা গেছে।
আবেদন করেছে এমন কয়েকটি ব্যাংকের নীতিনির্ধারণী কর্মকর্তারা টিবিএসকে বলেছেন, ব্যক্তি হিসেবে ট্রেজারি বিভাগের প্রধানদের শাস্তি দেওয়ার কারণে এসব কর্মকর্তারা সমস্যায় আছেন। জরিমানা পরিশোধ করতে হলে এসব কর্মকর্তাদের চাকরির ট্র্যাক রেকর্ডে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এতে করে তারা ভবিষ্যতে কোনো ব্যাংকের এমডি হতে পারবেন না।
এর আগে, সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে মার্কিন ডলার বিক্রির দায়ে ২৭ সেপ্টেম্বর ১০টি ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা জরিমানা করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংকগুলো হলো- সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, মার্কেন্টাইল ব্যাংক পিএলসি, মধুমতি ব্যাংক লিমিটেড, মিডল্যান্ড ব্যাংক লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, এক্সিম ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ও ট্রাস্ট ব্যাংক।
উচ্চ মূল্যে ডলার বিক্রির অভিযোগ তদন্ত করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি জানতে চেয়েছিল, চলতি বছর ডলারের দাম নিয়ে কারচুপির দায়ে ১০ ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানকে 'কেন জরিমানা করা হবে না'।
ব্যাংকগুলো নোটিশে সাড়া দিলেও, তাদের প্রতিক্রিয়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় ট্রেজারি প্রধানদেরকে জরিমানা করা হয় বলে জানা গেছে।
জরিমানার টাকা মতিঝিলের 'জেনারেল অ্যাকাউন্টস-হেড অফিস' সেক্টরে জমা দেওয়ার পর ব্যাংকগুলোকে ফরেইন এক্সচেঞ্জ পলিসি বিভাগকে এ বিষয়ে জানাতে বলা হয়। ব্যাংকগুলোকে দেওয়া এই সময়সীমা আগামী সপ্তাহে শেষ হবে।
অর্থসংবাদ/এমআই