রবিবার এ সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উদ্বোধন ঘোষণা করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এতে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, পুলিশ বাহিনী দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সব সময় ডিউটি করে রাস্তায়। তাদের প্রয়োজনে বা যে সার্জন সাহেব দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকেন। তার যদি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে, সহজে যেতে পারেন না। এমনকি অনেক নারী পুলিশও বা সার্জনও দায়িত্ব পালন করেন ফলে তারা এসময় ভীষণ একটা অসুবিধার মধ্যে পড়েন।
ফুটপাত বন্ধ না করে, জনসাধারণের চলাচল স্বাভাবিক রেখে আধুনিক সুবিধা সম্মলিত একটি পুলিশবক্স নির্মাণের জন্য ডিএনসিসি মেয়রকে ধন্যবাদ জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এসময় তিনি অন্যান্য স্থানেও এরূপ নান্দনিক পুলিশবক্স ও গণশৌচাগার নির্মাণের কথা উল্লেখ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকায় প্রথম দিকে যে ফুট ওভারব্রিজগুলি নির্মাণ করা হয়েছিল ফার্মগেটের ফুট ওভারব্রিজ ছিল তার একটি। কিন্তু এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মানের সময় এটি ভেঙ্গে সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন হয়।
‘তারই বিকল্প হিসেবে এই আধুনিক ও বহুমুখি ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। তবে আমাদের মাথায় ছিল যেহেতু আসে পাশে একটি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা রয়েছে তার আদলেই করতে হবে। তাই জাতীয় সংসদ ভবনের সাথে মিল রেখে এটি করা হয়েছে।’
এসময় তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, ফুট ওভারব্রিজ হলো কিন্তু এখন আমাদের খেয়াল রাখতে হবে এটাতে যেন কেউ দোকান না বসায়, হকার না বসে। কেউ যাতে নোংরা না করে। এটা সাধারণ পথচারীদের চলাচলের রাস্তা কেউ যাতে কোনো ভাবে বিঘ্ন না ঘটাতে পারে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, পুলিশ বাহিনীর জন্য রাস্তায় পুলিশবক্সের প্রয়োজন আছে। ডিএমপির মাধ্যমে আবেদন করলে আমরা আলোচনা সাপেক্ষে করে দেব। এমনভাবে করবো যাতে পথচারীরও অসুবিধা না হয় আবার পুলিশ সদস্যদেরও কোনো অসুবিধা না হয়।
এসময় তিনি কোনো কোম্পানীর বিজ্ঞপণ প্রচারের অংশ হিসেবে তাদের কাছ থেকে অপরিকল্পীতভাবে পুলিশবক্স না করানোর জন্য অনুরোধ করেন। এতে শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হয় এবং দৃশ্য দূষণ হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বির আহমেদের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা।
এছাড়াও বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান। এ সময় ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শামীম হাসান ও সংরক্ষিত আসন ১০ এর নারী কাউন্সিলর হামিদা আক্তার মিতু বক্তব্য দেন।
উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদ ভবনের স্থপতি লুই আই কানের করা শেরেবাংলা নগরের মাস্টারপ্ল্যানের শুরু ফার্মগেট মোড় থেকে। লুই কানের স্থাপত্য চর্চা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই নকশা করা হয়েছে। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের অর্থায়নে চলন্ত সিঁড়ির সুবিধাসহ ২০৬ ফুট লম্বা ও ২১ ফুট প্রস্তের এই ফুট ওভারব্রিজটি সার্বক্ষণিক সিটি ক্যামেরার আওতায় থাকবে।
অর্থসংবাদ/এমআই