বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে সহায়তার অঙ্গীকার নরওয়ের

বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে সহায়তার অঙ্গীকার নরওয়ের

বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে সহায়তা করার জন্য অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে নরওয়ে। সোমবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীতে একটি সেমিনারে এমন অঙ্গীকারের কথা ব্যক্ত করে নরওয়ে। বাংলাদেশে জলবায়ু বিনিয়োগ তহবিলের (সিআইএফ) যাত্রা শুরু করার লক্ষ্যে ঢাকাস্থ নরওয়েজিয়ান দূতাবাস, নরফান্ড এবং দ্যা নর্ডিক চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ইন বাংলাদেশ (এনসিসিআই) এ সেমিনারের আয়োজন করে।


সেমিনারে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বর্ধিত বিনিয়োগ, গ্রিন এনার্জিতে বিনিয়োগের সুবিধার জন্য সহায়ক নীতির উন্নয়ন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির আর্থিক বাধাগুলো অপসারণের বিষয় আলোচিত হয়।


এছাড়া এক্ষেত্রে অর্থায়ন ত্বরান্বিত করার জন্য প্রযুক্তিগত ও অন্যান্য সহায়তার জন্য উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতাসহ বাংলাদেশের গ্রিন এনার্জি উত্তরণের ওপর আলোকপাত করা হয়।


এসময় নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিক্টার-সেভেন্ডসেন বলেন, পুঁজির অ্যাক্সেস নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তি শিল্পের বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্ভরযোগ্য ও অভিজ্ঞ আর্থিক অংশীদার নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন ও উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি।


রাষ্ট্রদূত প্রতিবন্ধকতাগুলো অপসারণ, শাসন ও স্বচ্ছতা, সু-নিয়ন্ত্রিত বাজার, স্মার্ট ইনসেন্টিভ বাস্তবায়ন ও সঠিক ধরনের বিনিয়োগের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য একটি গতিশীল ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরি করার ওপর জোর দেন।


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার বিশ্বের অন্যতম জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে দেশটি তার মোট দেশজ উৎপাদনের দুই পার্সেন্ট হারাতে চলেছে। বাংলাদেশের শুধু জলবায়ু প্রভাব মোকাবিলায় বিনিয়োগের প্রয়োজনই নয়, জ্ঞান ও সক্ষমতা তৈরিতে প্রযুক্তিগত সহায়তাও প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে নরফান্ডের ক্লাইমেট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড একটি বড় সহায়ক হতে পারে।


এনসিসিআই-এর সভাপতি তাহরিন আমান বলেন, বাংলাদেশের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত একটি গভীর পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে, যা ঐতিহ্যগত জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসে স্থানান্তরিত হচ্ছে৷ এই পরিবর্তন কেবল আমাদের জ্বালানি শক্তির উৎসের পরিবর্তন নয়; এটি একটি টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য আমাদের সংকল্পের প্রমাণ।


তিনি বলেন, মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা সবুজ, সমৃদ্ধ এবং টেকসই ভবিষ্যতের প্রতি আমাদের দেশের অবিচল
অঙ্গীকার প্রতিফলিত করে। বছরের পর বছর ধরে, এনজিও, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি খাত এবং জ্বালানি বিশেষজ্ঞসহ বিভিন্ন অংশীজনরা গ্রিন এনার্জির এজেন্ডাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। তাদের গভীর একনিষ্ঠতা, আবেগ ও সম্মিলিত দৃষ্টি আমাদের গ্রিন এনার্জিতে উত্তরণের পেছনে চালিকা শক্তি।


প্রসঙ্গত, নরফান্ড দ্বারা পরিচালিত ক্লাইমেট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (সিআইএফ) বৈশ্বিক জ্বালানি সংরক্ষণে নরওয়ের একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। ২০২২ থেকে ২০২৭ সালের জন্য সিআইএফ ১০ বিলিয়ন নরওয়েজিয়ান ক্রোনার বরাদ্দ করেছে, যেন উন্নয়নশীল দেশগুলি নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং স্বল্প-কার্বন প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করে কয়লা এবং অন্যান্য জীবাশ্ম জ্বালানি শক্তি থেকে কার্বন নিঃসরণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমিয়ে আনতে পারে।


অর্থসংবাদ/এসএম

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

নতুন সুদহার নির্ধারণ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাগেজ রুলের অপব্যবহারে ধ্বংস হচ্ছে জুয়েলারি শিল্প
বছর ঘুরলেও প্রবাসী আয়ে গতি ফিরেনি
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
গ্রাহক সংখ্যায় দেশসেরা প্রতিষ্ঠান নগদ
বছরজুড়ে আলোচনায় খেলাপি ঋণ, সুদহার ও বিনিময়হার
প্রথম দিনেই ২ লাখের বেশি পণ্যের অর্ডার পেলো ইভ্যালি
তিন মাসের মধ্যে সব দেনা পরিশোধ শুরু করবো
পোশাকশিল্পকে রাজনৈতিক হাতিয়ার না বানানোর অনুরোধ
এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে ৪৪ শতাংশ