অথচ গত ১৭ আগস্ট এ স্কিম উদ্বোধনের পর এক মাসে গত ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চাঁদা পরিশোধ করেছিলেন ১২ হাজার ৮৮৯ জন। সে হিসাবে দ্বিতীয় মাসে এ স্কিমে নতুন করে যুক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮৩১ জন। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ সূত্রে আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ১৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই পেনশন কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এবং উদ্বোধনের দিন থেকেই সবার জন্য তা উন্মুক্ত করা হয়। প্রথম দিন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হতে আট হাজার মানুষ অনলাইনে নিবন্ধন করেছিলেন। এর মধ্যে ১ হাজার ৭০০ জন আবেদনের পুরো প্রক্রিয়া শেষ করে চাঁদা পরিশোধ করেন সেদিন।
শুরুতে চার শ্রেণির জনগোষ্ঠীর জন্য চার ধরনের পেনশন কর্মসূচি চালু করা হয়। এগুলোর নাম হচ্ছে প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা ও প্রবাস। এর মধ্যে বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের জন্য ‘প্রগতি’, স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য ‘সুরক্ষা’, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ‘প্রবাস’ এবং দেশের নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য ‘সমতা’।
চাঁদা দিয়ে পেনশন-ব্যবস্থার আওতায় আসতে পারেন ১৮ বছরের বেশি বয়সী যে কেউ। দেশের অন্তত ১০ কোটি মানুষ পেনশনব্যবস্থার আওতায় আসবেন, এমন প্রত্যাশা সরকারের রয়েছে। বিশাল একটি জনগোষ্ঠীকে সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় আনা এবং নিম্ন আয় ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত সমাজের ৮৫ শতাংশ মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই পেনশন স্কিম চালু করা হয়।
অর্থসংবাদ/এমআই