বাংলাদেশ চা বোর্ডের তথ্য বলছে, জুলাইয়ের চেয়ে আগস্টে ৮ লাখ ৩৫ হাজার কেজি বেশি চা উৎপাদন হয়েছে। মাসটিতে উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৪৪ লাখ ৮৯ হাজার কেজিতে। ২০২২ সালের আগস্টে উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৭ লাখ ৬২ হাজার কেজি। এক বছরের ব্যবধানে মাসটিতে উৎপাদন বেড়েছে ৩৭ লাখ ২৭ হাজার কেজি।
বোর্ড সেপ্টেম্বরের উৎপাদন তথ্য এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি। তবে নিলামের তথ্য থেকে জানা গেছে গত মাসেও উৎপাদনে উল্লম্ফন এসেছে। ৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ১৯তম চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক নিলামে উঠেছিল ৩৩ লাখ ৫২ হাজার ৯৩১ কেজি চা। ২০২২ সালের একই নিলামের চেয়ে এ বছর ৯ লাখ ৯ হাজার ৫৭৭ কেজি বেশি চা বিক্রির জন্য উঠানো হয়েছে। আর ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত মোট ছয়টি নিলামে বিক্রির জন্য প্রস্তাব করা হয় ২ কোটি ৪৫ লাখ ২৬ হাজার ৪৯৮ কেজি চা। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় নিলামে বেশি উঠেছে ৭১ লাখ ৩৪ হাজার ২০১ কেজি।
জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে ২৫তম নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। আসন্ন এ নিলামে গত বছরের চেয়ে অন্তত ছয় লাখ কেজি বেশি চা প্রস্তাব করবে ব্রোকার্স প্রতিষ্ঠানগুলো। এ হিসেবে দেখা যায়, দেশের ১৬৮টি চা বাগান থেকে সেপ্টেম্বরেও রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদন করেছেন চাষীরা।
এদিকে চলতি বছর ১০ কোটি ২০ লাখ কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে বাংলাদেশ চা বোর্ড। বোর্ডের তথ্যমতে, জানুয়ারি-আগস্ট পর্যন্ত প্রথম আট মাসে পণ্যটির উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৪৫ লাখ ৮৫ হাজার কেজি। গত বছরের একই সময়ে উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৪ কোটি ৯০ লাখ ৯৩ হাজার কেজি।
গত বছরের চেয়ে ৫৫ লাখ কেজি বেশি চা উৎপাদন হওয়ায় চলতি বছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে আশাবাদী খাতসংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরেও ভালো ফলনের ব্যাপারে আশাবাদী বাগান মালিক ও ব্যবস্থাপকরা। গত বছরের শেষ চার মাসের ন্যায় ৪ কোটি ৪৭ লাখ ৩৬ হাজার কেজি চা উৎপাদন হলেও চলতি বছরের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে মনে করছেন তারা।
২০২১ সালে দেশে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা ছিল ৭ কোটি ৭৭ লাখ ৮০ হাজার কেজি। এর বিপরীতে চা উৎপাদন হয়েছিল ৯ কোটি ৬৫ লাখ ৫ হাজার কেজি। পরের বছর চা বোর্ড উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১০ কোটি কেজি নির্ধারণ করলেও তা পূরণ হয়নি। ২০২২ সালে উৎপাদন নেমে যায় ৯ কোটি ৩৮ লাখ ২৯ হাজার কেজিতে। মূলত খরার প্রভাবে উৎপাদন ব্যাহত হয় বাগানগুলোয়।
অর্থসংবাদ/এমআই