পেশাদার সাংবাদিকদের ‘দ্বিতীয় গৃহ’ খ্যাত জাতীয় প্রেসক্লাবের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ শুক্রবার (২০ অক্টোবর)। ১৯৫৪ সালের এই দিন রাজধানীর তোপখানা রোডে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) প্রতিষ্ঠিত হয় সাংবাদিকদের মিলনমেলার এই স্থানটি।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ৮ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপনী দিন। এদিন সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হবে৷ এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
কেক কাটা ছাড়াও এদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করবেন প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন, কণা, অরিন, সন্দীপন, মারমা শিল্পী গোষ্ঠী এবং নাচ পরিবেশন করবে নৃত্য সংগঠন ধৃতি নৃত্যালয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে নৈশভোজেরও।
এর আগে শুক্রবার ভোরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্যদের মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়।
গত শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) শিশু আনন্দমেলার মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানের শুরু হয়।
এদিন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ শ্যামল দত্তসহ বর্তমান কমিটির সদস্যরা ফিতা কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আট দিনব্যাপী আয়োজনের মধ্যে ছিল: ১৩ ও ১৪ অক্টোবর শিশু আনন্দ মেলা। যেখানে জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্যদের সন্তানরা চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল। এছাড়া এই দুই দিন জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্যদের দাবা প্রতিযোগিতা ও এয়ারগান প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ১৫ ও ১৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় সদস্যদের স্পেড ট্রাম্প প্রতিযোগিতা ও চিত্র প্রদর্শনী। এছাড়া ১৬ অক্টোবর নারী সদস্যদের লুডু প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ১৭ ও ১৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় সদস্যদের টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতা। ২০ অক্টোবর ভোরে সদস্যদের মিনি ম্যারাথন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
অর্থসংবাদ/এসএম