জ্বালানি রূপান্তরের মাধ্যমে ৩৭ হাজার কর্মসংস্থান সম্ভব

জ্বালানি রূপান্তরের মাধ্যমে ৩৭ হাজার কর্মসংস্থান সম্ভব
জ্বালানি খাতে বিশ্বে উল্লেখযোগ্য রূপান্তর ঘটছে। তবে বাংলাদেশ রূপান্তর হচ্ছে ধীরগতিতে। এই রূপান্তরে নতুন কর্মসংস্থান হচ্ছে। সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিলে জ্বালানি রূপান্তরের মাধ্যমে ৩৭ হাজার নতুন কর্মসংস্থান সম্ভব।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘শক্তি রূপান্তর : কর্মসংস্থান এবং দক্ষতা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এমন সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। অনুষ্ঠানে শক্তি রূপান্তর: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে কর্মসংস্থান এবং দক্ষতার ওপর শক্তি রূপান্তরের প্রভাব শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

প্রতিবেদনে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে গ্রিড ম্যানেজমেন্ট, ডেটা অ্যানালাইসিস, সাইবার সিকিউরিটি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ক্ষেত্রে দক্ষতা সমৃদ্ধ কর্মসংস্থান প্রয়োজন হবে। বাংলাদেশ জীবাশ্ম জ্বালানির (কয়লা, পেট্রোল, ডিজেল) ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল। এসব যত বেশি পোড়ানো হয় কার্বন নির্গমন ততই বাড়ে। ৯৫ শতাংশ জ্বালানি আসছে জীবাশ্ম থেকে। জ্বালানি খাতের অবকাঠামো, কর্মসংস্থান, প্রতিষ্ঠানগুলো জীবাশ্ম জ্বালানি (ফসিল ফুয়েল) নির্ভর। কিন্তু এই চিত্র উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের ক্ষেত্রে ভিন্ন। জ্বালানি খাতে কর্মসংস্থানের রূপান্তর ঘটছে বিভিন্ন দেশে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিশ্বব্যাপী ১০ দশমিক ৭ মিলিয়ন নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছে ২০২১ সালে। এতে স্পষ্ট হয় জ্বালানি খাতে অনেক কাজের চাহিদা শেষ হয়ে যাবে, আবার নতুন কাজের ক্ষেত্র গড়ে উঠবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ২০৩০ সালের মধ্যে ১৩ হাজার ৭৭৮ কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। অন্যদিকে জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ১৬ হাজার ৬৬৩ কর্মসংস্থানের সুযোগ ঘটবে। এ সময়ে শক্তি রূপান্তরের ফলে ৮ হাজার ৯১৯ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তবে শক্তি রূপান্তর যদি উল্লেখযোগ্যভাবে হয় তাহলে কর্মসংস্থান বাড়বে প্রায় ৪ গুণ; অর্থাৎ ৩৭ হাজার ২২০ নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ মিলবে।

খন্দকার মোয়াজ্জেম বলেন, নতুন কর্মসংস্থানের জন্য চাকরিপ্রত্যাশীদের প্রস্তুত করতে প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন, শিক্ষা কারিকুলামে পরিবর্তন, ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্য শক্তি রূপান্তরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে কর্মসংস্থান-সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নের তাগিদ দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ হোসেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফাহমিদা আখতার, বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের রেক্টর মোহাম্মদ আলাউদ্দিন প্রমুখ।

অর্থসংবাদ/এসএম

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

নতুন সুদহার নির্ধারণ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাগেজ রুলের অপব্যবহারে ধ্বংস হচ্ছে জুয়েলারি শিল্প
বছর ঘুরলেও প্রবাসী আয়ে গতি ফিরেনি
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
গ্রাহক সংখ্যায় দেশসেরা প্রতিষ্ঠান নগদ
বছরজুড়ে আলোচনায় খেলাপি ঋণ, সুদহার ও বিনিময়হার
প্রথম দিনেই ২ লাখের বেশি পণ্যের অর্ডার পেলো ইভ্যালি
তিন মাসের মধ্যে সব দেনা পরিশোধ শুরু করবো
পোশাকশিল্পকে রাজনৈতিক হাতিয়ার না বানানোর অনুরোধ
এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে ৪৪ শতাংশ