তিনি আজ মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আমার গ্রাম আমার শহর : প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে গঠিত আন্ত:মন্ত্রণালয় কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা জানান।
তাজুল ইসলাম বলেন “গ্রামের মানুষকে অবহেলিত রেখে উন্নত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়, তাই গ্রামে শহরের সকল সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেয়া হবে।”
তিনি বলেন, উন্নত জীবনের আশায় মানুষ গ্রাম ছেড়ে শহরে আসে। আমরা যদি গ্রামে শহরের সব সুবিধা নিশ্চিত করতে পারি তাহলে তারা গ্রাম ছেড়ে শহরে আসবে না। গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন কল-কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসংস্থান তৈরি করা সম্ভব হলে শহরমুখী মানুষের স্রোত অনেকাংশে কমে যাবে।
মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা নিশ্চিত করার মাধ্যমে ‘আমার গ্রাম আমার শহর ’ কর্মসূচি বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই কর্মসূচির মাধ্যমে উন্নত যোগাযোগ, সুপেয় পানি, আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা ও সুচিকিৎসা, মানসম্পন্ন শিক্ষা, উন্নত পয়:নিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী সরবরাহ বৃদ্ধি, কম্পিউটার ও দ্রুতগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধা ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সহ মানসম্পন্ন ভোগ্যপণ্যের বাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে প্রতিটি গ্রামকে আধুনিক শহরে রুপান্তর করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, গ্রামে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেয়ার চেয়েও বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সুযোগ-সুবিধার গুণগত মান ও টেকসই নিশ্চিত করা।
তাজুল ইসলাম বলেন, গ্রামে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। তাই সব মন্ত্রণালয়কে সমন্বিতভাবে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। এই পরিকল্পনা বিভিন্ন পর্যায়ে যাচাই-বাছাই করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে।
সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে নিজ নিজ কর্মপরিকল্পনা প্রনয়ন করে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানোর জন্য সচিবদের প্রতি আহবান জানান তিনি।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আরো বলেন, দেশের ৮ বিভাগের ৮টি গ্রাম এবং ৭টি বিশেষ অঞ্চলের সাতটি মোট ১৫টি গ্রামকে ‘ আমার গ্রাম আমার শহর ’ কর্মসূচীর আওতায় আনার প্রাথমিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সচিব এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।