গত ৪ অক্টোবর এ ঋণ চুক্তিতে সই হয়। এরপর ১৭ অক্টোবর চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে চুক্তি সই উদযাপনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ ইস্পাত কারখানা নির্মাণ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ কোটি ৮০ লাখ ডলার। অর্থাৎ, দরকারি অর্থের প্রায় অর্ধেক দিচ্ছে জাইকা।
এ প্রকল্পে যৌথভাবে অর্থায়ন করবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ও ভারতের এক্সপোর্ট- ইমপোর্ট ব্যাংকসহ আরো কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
বিএসআরএম স্টিল জানায়, ১২ বছর মেয়াদে এ ঋণ দেবে জাইকা। আর মিরসরাইয়ের কারখানা উৎপাদনে যাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটির সক্ষমতা ৬ লাখ টন বেড়ে ১৪ লাখ টনে উন্নীত হবে।
বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ উন্নয়ন অংশীদার জাইকা দেশের বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্পে সহযোগিতা দিয়েছে। এর মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ের এমআরটি- ৬ (মেট্রোরেল) ও মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর উল্লেখযোগ্য। এছাড়া চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশের সবুজ প্রকল্পে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নে ব্র্যাক ব্যাংককে ১০ কোটি ডলার ঋণ দেয় জাইকা।
জাইকার বিবৃতিতে বলা হয়, এই ঋণ বাংলাদেশের ইস্পাত শিল্পের কারখানাগুলোয় সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন সুবিধা, বায়ুদূষণ ব্যবস্থাপনার প্রযুক্তি, বর্জ্য পানির পরিশোধনের ব্যবস্থা ও অন্যান্য সহায়ক সুবিধা পুনর্ব্যবহারকে উৎসাহিত করবে। যা এ শিল্পে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির প্রসার ও গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমাতে অবদান রাখতে পারবে।
জাইকা বলছে, বাংলাদেশের বেসরকারি খাতকে পুনর্জীবিত করার কৌশলগত উদ্দেশ্যে এ বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অন্যদিকে, বেসরকারি প্রস্তুতকারক খাতে জাইকার এ বিনিয়োগকে খরচ-সাশ্রয়ী ঋণ সুবিধা লাভের নতুন উৎস হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অর্থসংবাদ/এমআই