আলোচিত সময়ে ১৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হলেও আয়কর, ভ্যাট কিংবা কাস্টমসে কোনো বিভাগেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারিনি প্রতিষ্ঠানটি। এর আগে চলতি অর্থবছরে প্রথম দুই মাসে (জুলাই ও আগস্ট) রাজস্ব ঘাটতি ছিল ৪ হাজার ৮৭ কোটি টাকা।
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। আর প্রথম প্রান্তিকে বা তিন মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৪ হাজার ৯৪৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। যার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৭৬ হাজার ৭৫১ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
রাজস্ব বোর্ডের তথ্য বলছে, লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে ছিল আয়কর। এই খাতে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫২৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। পণ্য মূল্য বৃদ্ধির পরও ভ্যাটে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৫৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। আর আমদানি ও রপ্তানি শুল্কে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫১৪ কোটি ১০ লাখ টাকা।
আর প্রবৃদ্ধির বিবেচনায় গত বছরের তুলনায় একই সময়ে ভ্যাটের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৮.০৭ শতাংশ, আয়করে ১৭. ৪৭ শতাংশ আর শুল্কে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭. ৪৫ শতাংশ। যদিও শুল্ক খাতে রাজস্ব প্রবৃদ্ধি ভালো না হলেও লক্ষ্যমাত্রার ৯০ শতাংশেরও বেশি আদায় হয়েছে।
চলতি অর্থবছর এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে মূসক থেকে ১ লাখ ৫৯ হাজার ১০০ কোটি টাকা, আয়কর থেকে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ও আমদানি-রপ্তানি শুল্ক থেকে ১ লাখ ১৬ হাজার ১০০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে।
অর্থসংবাদ/এমআই