ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ক্রেডিট কার্ডের সর্বোচ্চ ব্যবহার

ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ক্রেডিট কার্ডের সর্বোচ্চ ব্যবহার
দেশে গত কয়েকবছর ধরে ক্যাশলেস লেনদেনের পরিমাণ ব্যাপকহারে বাড়ছে। মোবাইল ব্যাংকিং সেবার পাশাপাশি কার্ড ব্যবহারও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এখন দেশে ছাড়া বিদেশেও বেড়েছে বাংলাদেশের নাগরিকেরা কার্ডের ব্যবহার। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, দেশে যত ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার হয় তার অর্ধেকের বেশি ব্যবহার হয় ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে পণ্য কেনাকাটায়।

তথ্য মতে, মোট ক্রেডিট কার্ড লেনদেনের ৫৫ দশমিক ২৫ শতাংশ অর্থাৎ অর্ধেকের বেশি লেনদেন হয়েছে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলোয়। এ ছাড়া ১১ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে অর্থ স্থানান্তরের (ফান্ড ট্রান্সফার) ক্ষেত্রে। ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ ইউটিলিটি, ৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ নগদ অর্থ উত্তোলন, ৭ দশমিক ১৬ শতাংশ পোশাক কেনাকাটা, ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ ওষুধ ও ফার্মেসিতে, ২ দশমিক ৬৮ শতাংশ ট্রান্সপোর্টেশন, ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ ব্যবসা সেবা এবং দশমিক ৮২ শতাংশ ক্রেডিট কার্ডের লেনদেন হয়েছে অন্যান্য প্রয়োজনে।

লেনদেনে কার্ডের ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিসা কার্ডের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে। এর পরিমাণ ৭০ দশমিক ২৬ শতাংশ। এর পরেই রয়েছে মাস্টার কার্ড, এ কার্ডের মাধ্যমে লেনদেনের পরিমাণ ১৭ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। এ ছাড়া বাকি প্রায় ১৩ শতাংশ লেনদেন হয়েছে অন্যান্য কার্ডের মাধ্যমে।

এ ছাড়া দেশের ক্রেডিট কার্ডহোল্ডারদের ক্রস বর্ডার লেনদেনের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশের মতো বিদেশেও একই ধরনের জায়গা ও প্রয়োজনে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার হয়েছে। মার্চে বিদেশে প্রায় ৪৪ শতাংশ ক্ষেত্রেই ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার হয়েছে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে। এ ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রের মধ্যে রয়েছে ওষুধ ও ফার্মেসিতে ১৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ, পোশাক কেনাকাটায় ১১, ট্রান্সপোর্টেশনে ৬ দশমিক ৯২ এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ২৩ দশমিক ৭২ শতাংশ।

দেশভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশের বাইরে লেনদেনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার হয়েছে ভারতে। এর পরিমাণ ২৪ দশমিক ৩২ শতাংশ, অর্থের হিসাবে যা ১০৩ দশমিক ৬ কোটি টাকা। এ ছাড়া লেনদেনে অন্যান্য দেশ হিসেবে রয়েছে-যুক্তরাষ্ট্রে ১১ দশমিক ৯৫ শতাংশ, থাইল্যান্ডে ৯ দশমিক ৯২, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৯ দশমিক ৭০, সিঙ্গাপুরে ৮ দশমিক শূন্য ৭, যুক্তরাজ্যে ৫ দশমিক ৮৪, সৌদি আরবে ৫ দশমিক ৩৩, মালয়েশিয়ায় ৩ দশমিক ৯০, কানাডায় ৩ দশমিক ৭৯, নেদারল্যান্ডসে ৩ দশমিক ২১, আয়ারল্যান্ডে ২ দশমিক ৩৫, অস্ট্রেলিয়ায় ২ দশমিক ২৪ শতাংশ এবং অন্যান্য ১৬২ দেশে ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

দেশের ভেতরে বিদেশি নাগরিকরাও তাদের ক্রেডিট কার্ড সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেছেন বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে কেনাকাটায়। এর পরিমাণ ৪০ দশমিক ৬৯ শতাংশ, অর্থের হিসাবে ৯৬ দশমিক ৩ কোটি টাকা। এ ছাড়া এসব কার্ডের মাধ্যমে নগদ অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে ২২ দশমিক ৬২ শতাংশ (৫৩ দশমিক ৫ কোটি টাকা), ট্রান্সপোর্টেশনে ২২ দশমিক ৪৫ শতাংশ (৫৩ দশমিক ২ কোটি) এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে লেনদেনের পরিমাণ ১৪ দশমিক ২৪ শতাংশ। কার্ড হিসেবে বিদেশি নাগরিকরা লেনদেনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ব্যবহার করেছে ভিসা কার্ড। মোট লেনদেনে যা প্রায় ৬০ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মাস্টারকার্ড, এটি প্রায় ৩৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

অর্থসংবাদ/এমআই

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

নতুন সুদহার নির্ধারণ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাগেজ রুলের অপব্যবহারে ধ্বংস হচ্ছে জুয়েলারি শিল্প
বছর ঘুরলেও প্রবাসী আয়ে গতি ফিরেনি
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
গ্রাহক সংখ্যায় দেশসেরা প্রতিষ্ঠান নগদ
বছরজুড়ে আলোচনায় খেলাপি ঋণ, সুদহার ও বিনিময়হার
প্রথম দিনেই ২ লাখের বেশি পণ্যের অর্ডার পেলো ইভ্যালি
তিন মাসের মধ্যে সব দেনা পরিশোধ শুরু করবো
পোশাকশিল্পকে রাজনৈতিক হাতিয়ার না বানানোর অনুরোধ
এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে ৪৪ শতাংশ