কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে টানেল উদ্বোধন হয় ২৮ অক্টোবর। এরপর ১১ নভেম্বর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ। যাতায়াত ব্যবস্থায় দুই মেগা প্রকল্পের উদ্বোধনের পর ১৪ নভেম্বর চট্টগ্রামের আরেক মেগা প্রকল্প এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রকল্প পরিচালক সিডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, পতেঙ্গা টানেলের মুখ থেকে টাইগারপাস পর্যন্ত গাড়ি চলাচলের জন্য প্রস্তুত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। আপাতত এই অংশ খুলে দেওয়া হবে। তবে লালখান বাজার থেকে টাইগারপাস অংশের কাজ শেষ না হওয়ায় এটি এখনই খুলে দেওয়া যাচ্ছে না। এক থেকে দুই মাসের মধ্যে বাকি কাজ সম্পন্ন হবে।
প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পটির কাজ ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে।
সাবেক মেয়র প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নামকরণের সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। ২০১৭ সালের ১১ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে অনুমোদন পায় প্রকল্পটি।
লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে মূলত শাহ আমানত সেতু থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের আওতায় চলে আসবে। শাহ আমানত সেতু থেকে বহদ্দারহাট পর্যন্ত সড়ক ও জনপথ বিভাগ ছয় লেনের একটি রোড নির্মাণ করেছে। এতে সড়কে বিরতিহীনভাবে গাড়ি চলাচল করতে পারে। আর সে রোড দিয়ে বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার দিয়ে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে যুক্ত রয়েছে। আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার দিয়ে সরাসরি চলে যাওয়া যাবে পতেঙ্গা সৈকত হয়ে টানেল দিয়ে নদীর ওপারে কিংবা ঢাকামুখী আউটার রিং রোডে যুক্ত হওয়া যাবে।
অর্থসংবাদ/বাসস/এসএম