রোববার (১২ নভেম্বর) বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটে এ কারখানার উদ্বোধন করেন তিনি। এর আগে বেলা ১২টার দিকে সেখানে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।
কারখানার উদ্বোধন উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা জানান, দেশে ইউরিয়া সারের চাহিদা বছরে ২৬ লাখ টন। স্থানীয় কারখানা থেকে সার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১০ লাখ টন। বাকিটা আমদানি করতে হয়। ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা চালুর মধ্য দিয়ে দেশে সার উৎপাদন অনেক বাড়বে। এতে বিদেশ থেকে সার আমদানিতে যে টাকা ব্যয় হয়, সেখান থেকে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।
তিনি আরও জানান, কারখানাটি জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব। দেশে খাদ্য উৎপাদনে ইউরিয়া সারের চাহিদা বেশি থাকায় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে এ সার কারখানা। পলাশ ও ঘোড়াশালের পুরনো দুটি কারখানায় যে পরিমাণ গ্যাস লাগত, একই পরিমাণ গ্যাস দিয়ে নতুন কারখানায় আগের দুটি কারখানার চেয়ে বেশি ইউরিয়া উৎপাদন করা যাবে।
উল্লেখ্য, এই সার কারখানা প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হয়েছে ১৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে রয়েছে ১০ হাজার ৯২০ কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণ, যা পরিশোধ করতে ১০ বছর সময় লাগবে। ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানাটিতে দৈনিক ২ হাজার ৮০০ টন সার উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে।
অর্থসংবাদ/এমআই