বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ঋণ আমানত অনুপাতে বর্তমানে সবার ওপরে রয়েছে পদ্মা ব্যাংক। ব্যাংকটির এডিআর গত নভেম্বরে ১১৫ দশমিক ৩৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। বেসিক ব্যাংকের এডিআর ১১১ দশমিক ২৮ শতাংশ, রাকাব ১০০ দশমিক ৫৬ শতাংশ, ন্যাশনাল ব্যাংক ৯৪ দশমিক ৭১ শতাংশ ও এবি ব্যাংকের ৮৬ দশমিক ২৮ শতাংশ, এনআরবি ব্যাংক ৮৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ, এনআরবি গ্লোবাল ৮৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ, প্রিমিয়ার ব্যাংক ৯৭ দশমিক ২৫ শতাংশ, ইউনিয়ন ব্যাংক ৯৫ দশমিক ০২ শতাংশ এবং অগ্রণী ব্যাংক (ইসলামী) ১১১ দশমিক ২৮ শতাংশ।
এদিকে আমানতের বিপরীতে ব্যাংকগুলো কী পরিমাণ ঋণ বিতরণ করতে পারবে তা ঠিক করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১৭ সালের শেষ দিকে হঠাৎ করে ঋণ প্রবৃদ্ধি ব্যাপক বাড়তে থাকায় ঋণ-আমানত অনুপাত (এডিআর) কমিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি এক নির্দেশনার মাধ্যমে প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোর এডিআর ৮৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৮৩ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হয়। ইসলামী ব্যাংকগুলোর জন্য ৯০ শতাংশ থেকে নামিয়ে আনা হয়েছিল ৮৯ শতাংশ। তবে গত বছরের (২০১৯) ১৭ সেপ্টেম্বর আগের (প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোর ৮৫ ও ইসলামী ব্যাংকগুলোর জন্য ৯০ শতাংশ) হারে ঋণ বিতরণে অনুমতি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংকাররা জানান, বেশি সুদ দিয়েও আশানুরূপভাবে আমানত পাচ্ছে না অধিকাংশ ব্যাংক। এ কারণে এডিআর বেড়ে যাচ্ছে। কোনো কোনো ব্যাংকের এডিআর আগে থেকেই নির্ধারিত সীমার ওপরে থাকলেও আমানতের তুলনায় ঋণ বাড়ানো অব্যাহত আছে। মূলত কেন্দ্রীয় ব্যাংক এডিআর সমন্বয়ের সময় বারবার বাড়ানোর ফলে ব্যাংকগুলোর মধ্যে একটি ধারণা তৈরি হয়েছে, পরিস্থিতি খারাপ হলে আবার সময় বাড়ানো হবে।