বিশ্বব্যাংকের এ অনুমান সরকারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম। সরকার মনে করছে, চলতি অর্থবছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ৮ শমিক ২ শতাংশ। সম্প্রতি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ( এডিবি) এশিয়ার অর্থনীতি নিয়ে তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বাংলাদেশে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে।
বিশ্বব্যাংক বৃহস্পতিবার দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনীতির ওপর যে হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তাতে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি নিয়ে এই পূর্বাভাস রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার প্রভাবে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং উৎপাদন ও নির্মাণ খাতে মজুরি কমে যাবার প্রভাবে বেসরকারি ভোগব্যয় কমে যেতে পারে। তৈরি পোশাকের চাহিদা পুনরুদ্ধার হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় বিনিয়োগ ও রপ্তানি বাধাগ্রস্থ হবে।
ু
সাম্প্রতিক সময়ে রেমিট্যান্স বাড়লেও তা সাময়িক মনে করছে বিশ্বব্যাংক। এর কারণ ব্যাখ্যায় বিশ্বব্যাংক বলেছে, করোনার কারণে ফেরত আসা প্রবাসীদের সঞ্চয়ের কারণে রেমিট্যান্স এখন বাড়ছে। তবে আগামীতে এ ধারা নাও থাকতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার সংক্রমণের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার ক্ষুদ্র ব্যবসা এবং অনানুষ্ঠানিক খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লাখ লাখ শ্রমজীবী মানুষ দারিদ্র্যের কবলে পড়তে যাচ্ছে এবং এ অঞ্চলে করোনার প্রভাব দীর্ঘায়িত হতে পারে।
বিশ্বব্যাংক মনে করছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে ভারতের অর্থনীতি ৯ শমিক ৬ শতাংশ সংকোচন হবে। ভুটানে প্রবৃদ্ধি হবে ১ শমিক ৮ শতাংশ। নেপালে এবং পাকিস্তানে প্রবৃদ্ধি হবে যথাক্রমে শূন্য শমিক ৬ শতাংশ এবং শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ।