এ নিয়ে দেশে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত মানুষের মোট সংখ্যা দাঁড়াল ৩ লাখ ৭৫ হাজার ৮৭০। করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৭৭। মোট সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৮৯ হাজার ২১২জন।
দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে আজ শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। আজ মোট ১১ হাজার ২৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
শুরুর দিকে দেশে সংক্রমণ হয়েছে ধীর গতিতে। মে মাসের মাঝামাঝি সংক্রমণ দ্রুত ছড়াতে শুরু করে। আর জুনে সংক্রমণ পরিস্থিতি তীব্র আকার ধারণ করে। মাস দু-এক ধরে দৈনিক নতুন রোগীর সংখ্যা কমেছে। এ সময়ে সংক্রমণ শনাক্তের পরীক্ষার সংখ্যাও আগের চেয়ে কম হচ্ছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশ কিছুদিন ধরে সংক্রমণের হার নিম্নমুখী হলেও এখনো তা স্বস্তিকর মাত্রায় আসেনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঠিক করা নির্দেশক অনুযায়ী, কোনো দেশে শনাক্তের হার টানা তিন সপ্তাহ ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে ধরা যায়। সে হিসেবে দেশের সংক্রমণ পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকা না আসা পর্যন্ত নতুন এই ভাইরাস প্রতিরোধের অন্যতম উপায় হলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। স্বাস্থ্যবিধির মধ্যে আছে বাইরে বের হলে মাস্ক পরা, কিছু সময় পরপর সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা এবং লোকসমাগম এড়িয়ে চলা। এই সব কটি একসঙ্গে মেনে চলতে হবে। কিন্তু এখন স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে শিথিলতা দেখা যাচ্ছে। এতে সংক্রমণ আবার যেকোনো সময় বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছে।