তিনি বলেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে আজকে যে ডাটা সেন্টার চালু করা হলো এটি আন্তর্জাতিকমানের স্টেট অব দা আর্ট ডেটা সেন্টার৷ যার মাধ্যমে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সম্বলিত অত্যন্ত সুরক্ষিত একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে৷ এই ডেটা সেন্টার চালুর মাধ্যমে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ডিজিটাইলেজেশনের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল৷ যার মাধ্যমে ডিএসই’র আইসিটি আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশে পদার্পন করলো৷
গত ১২ নভেম্বর নিকুঞ্জে ডিএসই টাওয়ারে নতুন ডেটা সেন্টার থেকে ট্রেডিং কার্যক্রম চালু করা হয়৷ চালুর পর থেকেই নতুন ডেটা সেন্টারের মাধ্যমে ট্রেডিং কার্যক্রম সফলভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে৷
এ ব্যাপারে ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান বলেন, নতুন ডেটা সেন্টার চালুর মাধ্যমে সাফল্যের আরো একটি মাইলফলক অর্জন করেছে ডিএসই৷ আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে মতিঝিল থেকে নিকুঞ্জে স্থানান্তর করা হয়েছে ডিএসইর ডাটা সেন্টার৷ এতে প্রযুক্তিগতভাবে অগ্রগতি আরো বৃদ্ধি পেল৷ ডাটা সেন্টার প্রবর্তনের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তিতে প্রবেশ করা ছাড়াও, ডিএসইর ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম হবে আরও সুরক্ষিত৷ এর ফলে লেনদেনের গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে এবং ভবিষ্যতে একটি উন্নত ও আধুনিক পুঁজিবাজার গড়ে উঠবে।
নতুন ডেটা সেন্টারে আধুনিক প্রযুক্তির সার্ভার, নেটওয়ার্ক যন্ত্রাংশ, স্টোরেজ, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ইত্যাদি সংযোজন করা হয়েছে৷ এই অত্যাধুনিক ডেটা সেন্টার চালু করার মাধ্যমে ডিএসই বিনিয়োগকারী এবং সকল স্টেকহোল্ডারদের স্বার্থের জন্য অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য ও আধুনিক ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম নিশ্চিত করেছে৷
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএসই’র পরিচালক রুবাবা দৌলা, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম. সাইফুর রহমান মজুমদার, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা মো. তারিকুল ইসলামসহ ডেটা সেন্টারের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ৷
উল্লেখ্য যে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ওয়ানওয়ার্ল্ড ইনফোটেকের নেতৃত্বে গঠিত কনসোর্টিয়ামের কারিগরি সহায়তায় আন্তর্জাতিক মানের, রেটেড ৩ ডাটা সেন্টার ইনফ্রাস্ট্রাকচার স্থাপন করেছে৷ এছাড়াও ডিএসইর টেকনোলজি পার্টনার নাসডাক এবং ফ্লেক্সট্রেড এপ্লিকেশন মাইগ্রেশনে কারিগরি সহযোগিতা করেছে৷
অর্থসংবাদ/এমআই