শনিবার (১৮ নভেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তন ভবনে অবস্থিত সংগঠনটির কার্যালয় থেকে সংগঠনটি সভাপতির মুস্তাফিজুর রহমান রাকিবের নেতৃত্বে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে এসে সমাবেত হয়। এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।
এদিকে আলোচনা সভায় রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান রাকিবের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক তাসনিমুল হাসান প্রান্ত। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন, টিএসসির পরিচালক অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ. এম আলী হাসান, তরুণ লেখক ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এসএএইচ ওয়ালিউল্লাহ, ছাত্র মৈত্রী ইবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিরুল ইসলাম সৌরভ প্রমুখ।
এ সময় সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম আদনান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সোহানুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক শাহরিয়ার কবির, কোষাধ্যক্ষ শাহীন আলম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ফারহানা নওশীন তিতলী; কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে সামি আল সাদ আওন, যায়ীদ বিন ফিরোজ, মোস্তাক মোর্শেদ ইমন ও মংক্যচিং মারমা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাত হোসেন আজাদ বলেন, আমরা চাই এ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রগতিশীলতার প্রতিফলন ঘটুক। আপনাদের জন্য আমার দরজা সবসময় উন্মুক্ত। প্রক্টর হিসেবে একটাই প্রত্যাশা যেটা সত্য ও সুন্দর সেটাই তুলে ধরবেন।
ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন বলেন, বিগত বছরগুলোতে আপনাদের কার্যক্রম সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে। আপনারা যেমন নেতিবাচক দিকটি সমাধানের লক্ষ্যে তুলে ধরবেন তেমনি ক্যাম্পাসের ইতিবাচক বিষয়গুলোও তুলে ধরে সবাইকে অনুপ্রাণিত করবেন।
টিএসসিসির পরিচালক অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল বলেন, রিপোর্টার্স ইউনিটির লেখালিখি, সংবাদ পরিবেশনা এবং সত্যতার বিষয়াবলি সহ সবকিছুই আমার খুবই ভালো লাগে। আমি প্রত্যাশা করি এই সংগঠনটি চলমান প্রগতিশীলতা, ধর্মনিরপেক্ষতাকে সমন্বয় করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবেন।
সংগঠনটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান রাকিব বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে মুক্ত সাংবাদিকতার উর্বর ক্ষেত্র হিসেবে গড়ে তুলতে রিপোর্টার্স ইউনিটি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতাকে সার্বজনীন করতে যোগ্যতা এবং ইচ্ছে শক্তিকে প্রাধান্য দিয়েছে সবসময়। রিপোর্টার্স ইউনিটি ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীদের সাংবাদিকতার ক্ষেত্র তৈরি করেছে। সুযোগ দিয়েছে আদিবাসী শিক্ষার্থীদেরও। যেটা ইবিতে আগে ছিল না। প্রগতিশীলতার এ ধারা অদূর ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে প্রত্যাশা করছি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর ‘সত্য সন্ধানে মুক্ত কলম সৈনিক’ স্লোগান নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি। এরপর থেকে সল্প সময়েই সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সকলের নিকট আস্থার প্রতীক হিসেবে স্থান করে নিয়েছে সংগঠনটি।