এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৭ কোটি ৮৫ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩ কোটি ৫১ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১০৭ কোট ৪ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার এবং দেশে কর্মরত বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৬ লাখ মার্কিন ডলার।
রোববার (১৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
বাণিজ্যিক ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগের ফলে হুন্ডির দাপট কমছে, বাড়ছে বৈধ পথে প্রবাসী আয়।
তথ্য অনুযায়ী, চলতি নভেম্বরে প্রতিদিন প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন প্রায় ৬ কোটি ৯৮ লাখ ৬৫ হাজার মার্কিন ডলার। আগের বছরের নভেম্বর মাসে প্রবাসীরা প্রতিদিন দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রায় ৫ কোটি ৩২ লাখ ডলার। আর চলতি বছরের অক্টোবরে প্রবাসীরা প্রতিদিন বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রায় ৬ কোটি ৫৯ লাখ ১৯ হাজার মার্কিন ডলার।
সে হিসাবে নভেম্বর মাসে প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত আছে। প্রণোদনা বৃদ্ধিসহ নানা রকম উদ্যোগের ফলে বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী বাড়ছে।
সেপ্টেম্বর মাসে গত ৪৪ মাসের মধ্যে ব্যাংকিং চ্যানেলে সবচেয়ে কম প্রবাসী আয় দেশে আসে। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরকার ঘোষিত ২ টাকা ৫০ পয়সা প্রণোদনার পাশাপাশি প্রবাসী আয় সংগ্রহকারী ব্যাংকগুলো আরও ২ দশমিক ৫০ শতাংশ প্রণোদনা দিতে পারবে - এমন অনুমতি দেয়। এ ছাড়াও প্রবাসী আয়ের ডলার সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনে আরও বেশি দামে কেনারও অনুমতি দেয়। এর ফলে ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈধ পথে প্রবাসী আয় বাড়তে থাকে। সেপ্টেম্বর মাসে সবচেয়ে কম প্রবাসী আয় আসার পর অক্টোবর মাসে প্রবাসী আয়ে বেড়ে যায়। যা নভেম্বর মাসেও অব্যাহত রয়েছে।
অর্থসংবাদ/এসএম