দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা এখনো নির্ধারণ করেনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) রাজস্ব আহরণ হয়েছে ১৫০ কোটি ৮২ লাখ টাকা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ কোটি টাকা বেশি। বন্দর দিয়ে জিরাসহ অধিক শুল্ক পণ্যের আমদানি অব্যাহত থাকলে রাজস্ব আহরণ আরো বাড়বে বলে মনে করছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ৩১ কোটি ৮০ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। পরের মাস আগস্টে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ কোটি ৯২ লাখ টাকায়। তবে সেপ্টেম্বর থেকে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। মাসটিতে ৩৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা রাজস্ব আহরণ হয়েছে। অক্টোবরে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ আরো কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ কোটি ৭১ লাখ টাকায়।
এ চার মাসে হিলি স্থলবন্দরে মোট রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫০ কোটি ৮২ লাখ টাকা, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা বেশি। গত বছরের জুলাই-অক্টোবরে রাজস্ব আহরণ হয়েছিল ১৩৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এছাড়া গত অর্থবছরের একই সময়ে বন্দর দিয়ে মোট ৪ লাখ ৬৮ হাজার টন পণ্য আমদানি হয়েছিল, যার মধ্যে ৭ হাজার ৪৫২ টন ছিল জিরা। চলতি বছর জুলাই-অক্টোবর সময়ে আমদানির পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৮৭ হাজার টনে, যার মধ্যে ৪ হাজার ৮৮৮ টন ছিল জিরা। পণ্য আমদানির পরিমাণ কমলেও শুল্কহার বাড়ায় রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ বেড়েছে।
হিলি স্থল শুল্কস্টেশনের কর্মকর্তা বায়জিদ হোসেন বলেন, ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরে হিলি স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা এখনো নির্ধারণ করে দেয়নি এনবিআর। তার পরও আমরা চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ১৫০ কোটি ৮২ লাখ টাকা রাজস্ব আহরণ করতে সক্ষম হয়েছি। গত বছরের তুলনায় ১৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব এসেছে।
তিনি বলেন, হিলি স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের মূল পণ্য জিরা। এ বন্দর দিয়ে জিরা আমদানি বাড়লে রাজস্ব আহরণের পরিমাণও বাড়বে। তবে এনবিআর জিরা আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কায়ন মূল্য দ্বিগুণের মতো বাড়িয়েছে। আগে প্রতি টন জিরা ১ হাজার ৮০০ ডলার মূল্যে শুল্কায়ন করা হলেও এখন তা বাড়িয়ে ৩ হাজার ৫০০ ডলার করা হয়েছে। এ কারণে জিরা আমদানি অনেক কমে এসেছে। তবে আমদানি কমলেও শুল্কায়ন মূল্য বাড়ায় রাজস্ব আহরণ বেড়েছে। বন্দর দিয়ে সব ধরনের পণ্যের আমদানি স্বাভাবিক থাকলে এবং জিরা, পাথরসহ যেসব পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক আছে, সেসব পণ্যের আমদানি অব্যাহত থাকলে রাজস্ব আহরণ আরো বাড়তে পারে। বিশেষ করে ডলার সংকট কেটে গেলে আমদানিকারকরা এলসি খুলতে পারবে। তখন পণ্য আমদানির পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজস্ব আহরণের পরিমাণও বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।
অর্থসংবাদ/এসএম