দুবাইয়ে বিরাট কোহলির রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে লড়াইটাও করতে পারল না চেন্নাই। ৩৭ রানের সহজ জয় পেয়েছে ব্যাঙ্গালুরু। ৬ ম্যাচে চতুর্থ জয় এটি তাদের। আর ৭ ম্যাচে ধোনির দল পেয়েছে পঞ্চম হারের স্বাদ।
১৭০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কখনই ম্যাচে ছিল না চেন্নাই। ১০০ পার করতেই ১৬ ওভার কাটিয়ে দেয় তারা। হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট। ১৬তম ওভারের শেষ বলে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিও (৬ বলে ১০)।
অধিনায়কের এই ব্যর্থতা যেন পুরো দলেরই প্রতিচ্ছবি। তিন নম্বরে নামা আম্বাতি রাইডু একটা প্রান্ত ধরে ১৮ ওভার পর্যন্ত গেছেন। তবে তার ৪০ বলে ৪২ রানের ইনিংসটি কেবল নিজের কাজেই লেগেছে, দলের কোন উপকার হয়নি। চেন্নাই শেষ পর্যন্ত থেমেছে ৮ উইকেটে ১৩২ রানে।
ব্যাঙ্গালুরুর বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ক্রিস মরিস। ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন এই পেসার।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বেশ চাপেই পড়ে গিয়েছিল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। চেন্নাই সুপার কিংসের বোলাররা একদমই হাত খুলে খেলতে দিচ্ছিলেন না ব্যাঙ্গালুরু ব্যাটসম্যানদের।
শেষ পর্যন্ত সেই চাপ কাটিয়ে দারুণভাবে দলকে এগিয়ে নিয়েছেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তার দায়িত্বশীল এক ইনিংসেই ৪ উইকেটে ১৬৯ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি গড়ে দলটি।
প্রথম ১০ ওভারে ১ উইকেট হারালেও মোটে ৬৫ রান তুলতে পারে ব্যাঙ্গালুরু। সেই দলটিই শেষ ১০ ওভারে যোগ করেছে ১০৪ রান। তার পুরো কৃতিত্বই বলতে গেলে কোহলির।
ব্যাঙ্গালুরু অধিনায়ক ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৯০ রানে। ৫২ রানের ঝড়ো ইনিংসটি ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান সাজিয়েছেন ৪টি করে চার-ছক্কায়। তার সঙ্গে শেষদিকে নেমে ১৪ বলে ২ চার আর ১ ছক্কায় ২২ রানের ইনিংস খেলেন শিভাম দুবে।
এছাড়া ওপেনার দেবদূত পাডিক্কেল হাত খুলে খেলতে না পারলেও প্রথম ১০ ওভারে দলের উইকেট ধরে রেখেছিলেন। ৩৪ বলে ৩৩ রান করেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
চেন্নাইয়ের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল শার্দুল ঠাকুর। তবে ৪ ওভারে ২ উইকেট নিলেও ৪০ রান খরচ করেছেন তিনি। একটি করে উইকেট নিয়েছেন দীপক চাহার আর স্যাম কুরান।