আজমেরি হক বাঁধন। এই অভিনেত্রীর এখন বলার মতো অনেক গল্প কিংবা তাকে নিয়েই এখন অনেক গল্প। গল্পের বাইরে আবার উপস্থিত হয় নানা গসিপও। তার সাফল্যের পেছনে রয়েছে হাসি, কান্না, আনন্দ-বেদনা। এ কথা এখন সবারই জানা।
তবুও অভিনয়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য মাত্রায়। ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয়ে করে ভারত ও বাংলাদেশ এবং গোটা বিশ্বকেই দেখিয়েছেন তার নৈপূণ্যতা।
‘রেহানা মরিয়ম নূর’খ্যাত এই অভিনেত্রী এবার নতুন সিনেমায় অভিনয় করছেন। ছবির নাম ‘এষা মার্ডার’। কপ ক্রিয়েশনস ও বিঞ্জ অ্যাপের যৌথ প্রযোজনায় ছবিটি নির্মাণ করবেন সানী সানোয়ার।
এতে প্রথমবারের মতো পর্দায় পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনয় করে চমকে দিবেন ভক্তদের এমনটাই জানালেন তিনি। সিনেমাটির দৃশ্যধারণ শুটিং শুরু হতে যাচ্ছে এ মাসেই।
এ প্রসঙ্গে বাধঁন বলেন, আশা করছি ‘এষা মার্ডার’ সিনেমার শুটিং ডিসেম্বরে শুরু হবে এবং এ মাসেই শেষ হবে। আউটডোরেই শুটিং হবে পুরোটা। পুরোপুরি কমার্শিয়াল একটি সিনেমা। আগামী ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা। সবসময় দেখা যায় পুরুষ অফিসার। নারী অফিসার নয় কেন? পরিচালক যখন গল্প ও চরিত্র নিয়ে আমার সঙ্গে বসেন, আমাকে বোঝাতে সক্ষম হয়, তখন ভালো লাগে এই বিষয়টি। গল্পে নারী পুলিশ অফিসার।
তিনি আরও লেখেন, পুলিশ চরিত্রে কখনো অভিনয় করিনি। ক্যারিয়ারে অনেক ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছি গল্পের প্রয়োজনে। কিন্তু এবারই প্রথম করতে যাচ্ছি পুলিশ চরিত্র। চরিত্রটি নিয়ে আমি হ্যাপি। পরিচালকের সঙ্গে আন্ডারস্ট্যান্ডিংটাও ভালো হয়েছে। এমন প্রশ্নের জবাবে বাঁধন বলেন, কিছু ট্রেনিং চলছে চরিত্রের জন্য। এক থেকে দেড় মাস ধরে ট্রেনিং করছি। এডওয়ার্ড নামে একজন আছেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, তার কাছে ট্রেনিং নিচ্ছি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত ‘খুফিয়া’ সিনেমার সুবাদে বাংলাদেশ-ভারতের দর্শকের কাছে প্রশংসিত হয়েছেন বাঁধন। বিশাল ভরদ্বাজের এই সিনেমার গল্প এগিয়েছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর এক অফিসারকে ঘিরে। যে চরিত্রে অভিনয় করেছেন টাবু।
বাংলাদেশে অপারেশনে এসে তার পরিচয় ঘটে হিনা রহমান ওরফে অক্টোপাস চরিত্রের সঙ্গে। আর এই ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বাঁধন। থ্রিলার ঘরানার এই সিনেমায় বাঁধন-টাবু ছাড়াও অভিনয় করছেন আলী ফজল, আশিস বিদ্যার্থী ও ওয়ামিকা গাব্বি। গেল ৫ অক্টোবর এটি মুক্তি পায় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে।