বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ পলিসি তামাদির জন্য কারণ চিহ্নিত করে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তার মধ্যে রিনিউয়াল প্রিমিয়াম অর্জনে এজেন্টদের নিষ্ক্রিয়তার পাশাপাশি এজেন্টগণের কোম্পানী পরিবর্তনের মাধ্যমে পলিসি স্থানান্তরও ব্যাপকভাবে দায়ী। এমতাবস্থায় পলিসি চালু রাখার মাধ্যমে এজেন্ট কর্তৃক কোম্পানীর রিনিউয়াল প্রিমিয়াম আয় বৃদ্ধিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখা, বীমা শিল্পে পেনিট্রেশন বৃদ্ধি এবং সর্বোপরি কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা ব্যয় নিয়ন্ত্রণের জন্য এজেন্ট কমিশনের বিষয়ে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বেশকিছু নির্দেশনা সম্বলিত সার্কুলার জারি করেছে।
নির্দেশনাগুলো হলো লাইফ বীমাকারীর ১ম বর্ষ ও ডেফার্ড প্রিমিয়ামের উপর কমিশনের শতকরা ১০ (দশ) ভাগ ২য় বর্ষের নবায়ন প্রিমিয়াম সংগৃহীত হওয়ার পর প্রদেয় নবায়ন কমিশনের সাথে এজেন্ট এবং সকল স্তরের উন্নয়ন কর্মকর্তাগণকে পরিশোধ করতে হবে। বিলম্বিত কমিশনের উপর পূর্ববর্তী বছরের বিনিয়োগ আয়ের হার অথবা বাৎসরিক ৩% সরল সুদ-এ দু’টির মধ্যে যেটি কম সে হারে মুনাফা প্রদান করে বিলম্বিত কমিশন বিল তৈরী করতে হবে। কমিশনসহ অন্য যে কোনরকম ব্যয় যেমন- বোনাস, যাতায়াত, বাড়ি ভাড়া ইত্যাদি সংগৃহীত প্রিমিয়ামের সাথে সমন্বয় করা যাবে না। এজেন্ট এবং সকল উন্নয়ন কর্মকর্তাদেরকে ব্যাংকিং চ্যানেলের (Mobile Financial Services এবং এজেন্ট ব্যাংকিংসহ) মাধ্যমে কমিশন পরিশোধ করতে হবে।
জীবন বীমা কোম্পানীগুলোতে গত ৫ (পাঁচ) বছরের কম সময় ধরে যে সকল পলিসি তামাদি হয়ে আছে সে সকল পলিসি কোন বিলম্ব ফি ছাড়াই পুনর্বহালের সুযোগ প্রদানের জন্য গত ০৭ জুলাই জাতীয় দৈনিক পত্রিকা সমূহে বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স এসোসিয়েশন কর্তৃক ‘‘মুজিব বর্ষে বীমা কোম্পানীর উপহার’’ শীর্ষক একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এই বিজ্ঞপ্তির আলোকে তামাদি পলিসি পুনর্বহাল এবং উপরোল্লিখিত নির্দেশনা সমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি জানার জন্য বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ জীবন বীমা কোম্পানীগুলো থেকে নির্দিষ্ট ছকে ২০১৫-২০১৯ পর্যন্ত তামাদি পলিসির তথ্য সংগ্রহ করছে।
পলিসি তামাদির উচ্চহার কমানো, রিনিউয়াল প্রিমিয়াম আয় বৃদ্ধি, ব্যবস্থাপনা ব্যয় নিয়ন্ত্রণ এবং পেনিট্রেশন বাড়ানোর মাধ্যমে দেশের জীবন বীমা শিল্পের আর্থিক সামর্থ্য বৃদ্ধি করার লক্ষ্যেই কর্তৃপক্ষকে এ সকল কার্যক্রম হাতে নিতে হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।