দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে বিশাল জয় তুলে নিয়েছে সাবিনার দল। বাংলাদেশের নারী ফুটবল ইতিহাসে কোনো বড় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এটাই সবচেয়ে ব্যবধানে জয়।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্নক ফুটবল খেলতে থাকে বাংলাদেশের মেয়েরা। লিড নিতেও বেশি সময় ব্যয় করতে হয়নি তাদের। ম্যাচের ১৫ মিনিটে আগের ম্যাচে জোড়া গোল করা তহুরা খাতুনের গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশের মেয়েরা।
এরপর তিন মিনিটের মাথায় আবারও গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। সাবিনের কর্নার কিক থেকে ডি বক্সের ভেতরে বল পেয়ে জালে জড়ান ঋতুপর্না চাকমা। তার গোলে জোড়া লিড পায় বাংলাদেশ।
এরপরও আক্রমণাত্নক ফুটবল খেলতে থাকে সাবিনা-সানজিদারা। ম্যাচের ২৪ মিনিটে আবারও গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। নিজের দ্বিতীয় গোল করে বাংলাদেশকে ৩-০ তে এগিয়ে দেন তহুরা।
এরপরও একাধিক আক্রমণ করে বাংলাদেশ। তবে আর কোনো গোল না হলে ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
বিরতিতে থেকে আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে হ্যাটট্রিকের সুযোগ মিস করেন তহুরা। সিঙ্গাপুরের গোলরক্ষকের গায়ে লেগে বলটি যায় সানজিদার পায়ে। সেই সুযোগে বাম পায়ের জোড়ালো শটে দলের হয়ে চতুর্থ গোলটি করেন তিনি।
৬১ মিনিটে এক ডিফেন্ডারকে এড়িয়ে বক্সে ঢুকে ঋতুপর্ণা বাঁ পায়ে জোরালো শটে দলকে পঞ্চম গোল এনে দেন। ৭৫ মিনিটে শামসুন্নাহার জুনিয়রের পাসে সাবিনা দারুণ প্লেসিং করে ষষ্ঠ গোল পাইয়ে দেন। শেষ দুটি গোল এসেছে দুই বদলি খেলোয়াড়ের কাছ থেকে। ৮৭ মিনিটে বদলি সুমাইয়া মাৎসুশিমা দারুণ এক সাইড ভলিতে গোল করে দর্শকদের আনন্দ আরও বাড়িয়ে দেন।
যোগ করা সময়ে শামসুন্নাহার জুনিয়র প্লেসিং করে দলকে অষ্টম গোল পাইয়ে সিঙ্গাপুরের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন। সিঙ্গাপুর এই অর্ধে কোনও সুযোগই পায়নি। দীর্ঘদেহী বরুশিয়ার স্ট্রাইকার একাধিকবার বল পেলেও কিছুই করতে পারেনি। দেখাতে পারেনি পায়ের ঝলক। দুই ম্যাচে টানা জিতে বাংলাদেশের মেয়েরা বছরটি শেষ করলো দারুণভাবে।
অর্থসংবাদ/এমআই