হলফনামা অনুযায়ী মাশরাফির বার্ষিক আয় ৮৮ লাখ ৫৪ হাজার ৪৫৮ টাকা। পাঁচ বছর আগে ছিল এক কোটি ৯৯ লাখ ১৮ হাজার ৭০০ টাকা। অর্থাৎ সংসদ সদস্য হওয়ার পরে সাবেক কাপ্তানের বার্ষিক আয় কমেছে।
তবে বার্ষিক আয়ের মধ্যে শেয়ার মার্কেটে ১৪ লাখ ১ হাজার ৯৫৩ টাকা, চাকরি ও বিভিন্ন সম্মানী বাবদ ২৩ লাখ ৩ হাজার ২০ টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে ৫১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৮৫ টাকা আয় করেন বলে জানিয়েছেন ম্যাশ।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে হলফনামায় উল্লেখ ছিল, মাশরাফি কৃষিখাত থেকে বছরে পাঁচ লাখ ২০ হাজার, ব্যবসা (এমডি, দি ম্যাশ লি.) থেকে সাত লাখ ২০ হাজার, চাকরি (ক্রিকেট) করে ৩১ লাখ ৭৪ হাজার এবং অন্যান্য খাত থেকে এক কোটি ৫৫ লাখ ৪ হাজার ৭০০ টাকা আয় করেন।
দ্বাদশ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী, মোট ৯ কোটি ৪২ লাখ ৬৯ হাজার ৬৩১ টাকার সম্পত্তি রয়েছে মাশরাফির। পাঁচ বছর আগে ছিল মোট ৯ কোটি ১৪ লাখ ৫৯ হাজার ৫১ টাকার (৫০ তোলা স্বর্ণ বাদে) সম্পত্তি।
বর্তমানে হাতে রয়েছে এক কোটি ৮০ লাখ ৫৪ হাজার ৪০২ টাকা, তিন ব্যাংকে জমা এক কোটি ৩ লাখ ৭০ হাজার ৮৬০ টাকা, বন্ড দুই লাখ ৫০ হাজার ও বিভিন্ন সঞ্চয়পত্র দুই কোটি ৪৫ লাখ ৮৩ হাজার ৩৭৯ টাকা। এছাড়া একটি কার, দুটি মাইক্রো ও একটি জিপ রয়েছে, যেগুলোর মূল্য এক কোটি ৭৫ লাখ ৭ হাজার টাকা।
স্থাবর সম্পত্তি হিসেবে মাশরাফির ২ হাজার ৮০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট রয়েছে, যার মূল্য এক কোটি ৮ লাখ টাকা। পূর্বাচলে একটি প্লট রয়েছে, যার মূল্য আট লাখ ২৪ হাজার টাকা। ৪৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ছয়তলা বাড়ি রয়েছে। নিজ নামে কৃষিজমি রয়েছে ৩.৬১ একর, যার মূল্য ৩৭ লাখ টাকা। এছাড়া সিটি ব্যাংকে ৮৯ লাখ ৭ হাজার ৭৭৫ টাকার ঋণ আছে নড়াইলের এ এমপির।
অর্থসংবাদ/এমআই