পুঁজিবাজার বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশন দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই বিভিন্ন ইতিবাচক সিদ্ধোন্তের কারনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফেরে। এর ফরে বাজারে লেনদেনেরও উন্নতি শুরু হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এশীয় সীমান্তের বাজারগুলির জন্য ২০২০ সালের তৃতীয় প্রান্তিক ছিল একটি দুর্দান্ত প্রান্তিক। বাংলাদেশ ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ, পাকিস্তান ১৯ দশমিক ৪ শতাংশ এবং শ্রীলঙ্কা ১৭ দশমিক ০ শতাংশ রিটার্ন নিয়ে বিশ্বব্যাপী শীর্ষ অবস্থানে ছিল এই তিনটি বাজার।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের অব্যাহত বিক্রয় সত্ত্বেও দেশীয় বিনিয়োগকারীদের নেতৃত্বে ইতিবাচক প্রতিফলন ঘটায়। এ উন্নতির কারন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, অত্যন্ত আকর্ষণীয় মূল্যায়ন, স্বল্প সুদের হার, রফতানি ও রেমিটেন্সে বড় ধরনের অবদান রেখেছে।
এদিকে, এর আগে গত আগষ্ট মাসে এশিয়ার শেয়ারবাজার উত্থান হয়েছে। এরমধ্যে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের সবচেয়ে বেশি ১৫.৮০ শতাংশ উত্থান হয়েছে। যা বিশ্বের শেয়ারবাজারেও সেরা পারফর্ম ছিল এটি।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ি, আগস্ট মাসে বাংলাদেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্রোড ইনডেক্স বেড়েছে ১৫.৮০ শতাংশ। যা এশিয়ারসহ বিশ্বের সেরা পারফরমেন্স। বাংলাদেশের পরে এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উত্থান হয়েছে ভিয়েতনামের ভিএন সূচকের। আগস্টে এ সূচকটি বেড়েছে ১০.৪০ শতাংশ। আর ৪.৭০ শতাংশ বেড়ে তৃতীয় স্থানে পাকিস্তানের কেএসই ১০০ ইনডেক্স। এরপরের অবস্থানে থাকা শ্রীলঙ্কার সিএসই অল ইনডেক্স বেড়েছে ৪ শতাংশ।
এই উত্থানের পরেও এশিয়ার শেয়ারবাজার বিনিয়োগের জন্য আকর্ষনীয় বলে উল্লেখ করেছে ব্লুমবার্গ। মূল্য-আয় অনুপাত (পি/ই) বিবেচনায় তারা এ কথা বলেছে। এক্ষেত্রে ৬.৫ পি/ই নিয়ে সবচেয়ে বিনিয়োগযোগ্য অবস্থায় রয়েছে এশিয়ার কাজাগিস্তান। এরপরে ৭.৫ নিয়ে পাকিস্তান, ৮.৯ নিয়ে শ্রীলঙ্কা, ১১.৮ নিয়ে বাংলাদেশ, ১৩.৮০ নিয়ে ভিয়েতনাম, ১৬.৫ নিয়ে থাইল্যান্ড, ১৭.৩০ নিয়ে ফিলিপাইন ও ২৩.৯০ নিয়ে ভারত বিনিয়োগযোগ্য অবস্থান রয়েছে।
এদিকে ব্লুমবার্গের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদেশীদের নিট বিক্রির পরিমাণ বেশি সত্ত্বেও এশিয়ার শেয়ারবাজার উত্থান হয়েছে। তবে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে বিদেশীরা সবচেয়ে কম নিট বিক্রি করেছে।
বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে বিদেশীরা চলতি বছরে (জানুয়ারি-আগস্ট) কেনার চেয়ে ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বেশি বিক্রি করেছে। এরপরে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন নিট বিক্রি করেছে শ্রীলঙ্কার শেয়ারবাজারে। ওই বাজারে বিদেশীরা ১৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি বিক্রি করেছে। এরপরের অবস্থানে থাকা ভিয়েতনামের শেয়ারবাজারে বিদেশীরা নিট ৩১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বেশি বিক্রি করেছে।