মাঠে চলছে ক্রিকেট। মাঠের বাইরে চলছে নির্বাচনের হাওয়া। তবে, দুই অঙ্গনেই পা রাখা সাকিব আল হাসান নেই কোথাও। মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে বৈধতা পেয়েছেন। মাঝে একবার আচরণবিধি ভঙ্গ করে নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে শোকজ নোটিশ পেয়েছেন। দুবাই গিয়েছিলেন দুদিনের সফরে। সেখান থেকেও ফিরে এসেছেন। ব্যস্ত সাকিবের এবারের গন্তব্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
গতকাল মঙ্গলবার সারাদিন মাগুরায় সময় কাটিয়েছেন সাকিব আল হাসান। সন্ধ্যায় ঢাকা ফিরে আসেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। আঙুলের উন্নত চিকিৎসার জন্য শুরুতে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত আমেরিকা যাচ্ছেন সাকিব। গতকাল রাতেই যাওয়ার কথা ছিল টাইগার অধিনায়কের। তবে, গিয়েছেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নন বিসিবি চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরি।
দেবাশীষ বলেন, 'সাকিব চলে গেছে কি না, সেটা জানি না। তার যেমন ইনজুরি, এটা ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ সময় নেয়। ওর চার সপ্তাহ হয়েছে, আরো ২ সপ্তাহ লাগবে। এরপর রিহ্যাব করবে, তারপর বোলিং করবে। তারপর গিয়ে স্কিল ট্রেনিং করবে।’
সাকিব আবার কবে মাঠে ফিরবেন— সেই আভাসও কিছুটা দিয়ে রেখেছেন বিসিবি চিকিৎসক। ‘ফ্রাকচার জোড়া লাগতে ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ সময় নিবে। এরপর ট্রেনিং আর কি। আরো কিছু সময় লাগবে। এ সময় আঙুলে ব্যান্ডেজ থাকবে। এখন কখন ফিরবে, এটা সাকিবের কনফিডেন্টের ব্যাপার, যেহেতু বোলিং ফিঙ্গার।'
ধারণা করা হচ্ছে, সাকিব আল হাসানকে আবারও মাঠে পাওয়া যাবে নির্বাচন পরবর্তী বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) আসরে। আগে থেকেই নিশ্চিত যে তিনি এবার রংপুর রাইডার্সের জার্সিতে খেলবেন। বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ শেষ করেই দেশে ফিরেছিলেন সাকিব। এরপরেই ক্রিকেটের বাইরে যুক্ত হয়ে পড়েন। আঙুলের ইনজুরির পুনর্বাসনের পাশাপাশি আপাতত সময় দিচ্ছেন রাজনীতিতে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হয়ে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন সাকিব। দলের পক্ষ থেকেও তার উপরেই আস্থা রাখা হয়েছে। আসন্ন ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে সাকিব আল হাসান লড়বেন মাগুরা-১ আসন থেকে। এর আগে ১৮ ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হবে। তার আগে দেশে দেখা যেতে পারে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে।