চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে হঠাৎ করে বেড়ে যায় এই দুই পণ্যের দাম। বাজার নিয়ন্ত্রণে তাই আলু ও পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেয় সরকার। আমদানির সিদ্ধান্তের পরও বাজারে তার বড় কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। উচ্চ মূল্যেই স্থিতিশীল হয়ে আছে এ দুটি পণ্য।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে নতুন পেঁয়াজ ও আলু আসা শুরু করলেও এখনো তা পরিমাণে যথেষ্ট নয়। এ কারণে দামে বড় কোনো প্রভাব পড়ছে না। তা ছাড়া এখন বাজারে যেসব আলু ও পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে, তার বেশির ভাগই আমদানি করা। দুটি পণ্যই আমদানি করা হচ্ছে ভারত থেকে। ডলারের বাড়তি দামের কারণে আমদানি খরচও বেশি। তাই বাজারে নতুন আলু, পেঁয়াজ আসতে শুরু করলেও দামে তার কোনো প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। বাজারে নতুন আলু, পেঁয়াজের ব্যাপক সরবরাহ শুরু হলে দাম কিছুটা কমতে পারে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
সম্প্রতি রাজধানীর মালিবাগ, মগবাজার ও কারওয়ান বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা। আর খুচরায় পুরোনো আলুর কেজি ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা। বাজারে নতুন আসা আলুর কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা। এর বাইরে বাজারে আসা নতুন পেঁয়াজপাতাসহ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মঙ্গলবারের বাজারদরের তালিকা অনুযায়ী, ঢাকার বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল ১১০ থেকে ১৩৫ টাকা কেজি। আর আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি ছিল ৮০ থেকে ১২০ টাকা। গত বছরের এ সময়ে ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৩৫ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে। আর আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। সেই হিসাবে, এক বছরের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৬০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। আর আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত।
এ ছাড়া টিসিবির হিসাবে, বাজারে এখন প্রতি কেজি আলুর দাম ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা। গত বছরের এই সময়ে দাম ছিল ২২ থেকে ২৫ টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে বাজারে এখন আলুর দাম দ্বিগুণের বেশি।
অর্থসংবাদ/এমআই