আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান বলেন, ‘নিম্নচাপটি এখনও নিম্নচাপই আছে। দুপুর নাগাদ এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে আমরা মনে করছি। কিন্তু এর গতি এখন ভারতের অন্ধ্র উপকূলের দিকে। তাই আমাদের ভয়ের কিছু নেই। তবে এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, নদীবন্দর এলাকাগুলোতে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। এজন্য সমুদ্রবন্দরে ১ নম্বর দূরবর্তী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। নদীবন্দরেও একই কারণে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।’
আবহাওয়ার অফিস জানায়, নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণহ হতে পারে। আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসেও চলতি অক্টোবরে একটি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। ফলে যদি এই লঘুচাপ শক্তিশালী হয়, তাহলে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। ভারতের গণমাধ্যমগুলো এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড় গতি আসছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে প্রতিবেদন করছে।
এদিকে আবহাওয়া অফিস জানায়, পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে অগ্রসর হয়ে ভারতের অন্ধ্র উপকূলের দিকে যেতে পারে। নিম্নচাপের পাশাপাশি মৌসুমি বায়ুর প্রভাবও আছে বাংলাদেশের ওপর। তবে তা কম সক্রিয় ও উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল অবস্থায় আছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, এর প্রভাবে রাজশাহী, সিলেট, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্য এলাকার আকাশ আংশিক মেঘলাসহ প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।