বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও কূটনৈতিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গত পাঁচ দশকে নতুন উচ্চতায় স্থান পেয়েছে বলে মনে করেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার।
এরই ধারাবাহিকতায় দুদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কার্যক্রম সম্প্রসারণের কারণে ২০২২ অর্থবছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা সামনের দিনগুলোতে আরো বৃদ্ধির প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। সম্প্রতি সৌদি আরবের বিনিয়োগ বিষয়ক মন্ত্রী মান্যবর খালেদ-আল ফালেহ বাংলাদেশ সফর করেন। এছাড়া ডিসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার সামীর সাত্তার বেসরকারিখাতের সর্ববৃহৎ বাণিজ্য প্রতিনিধিদলে সৌদি আরব সফর করেছেন।
ডিসিসিআই সভাপতি সামীর সাত্তার বলেন, অবকাঠামো, জ্বালানি এবং উৎপাদনখাতসহ অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাতে সৌদি বিনিয়োগ প্রাপ্তির লক্ষ্যে বাংলাদেশকে আরো কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ এবং তার যথাযথ বাস্তবায়নে আরো মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। দু-দেশের মধ্যকার দ্বৈতকর চুক্তি একটি ইতিবাচক উদ্যোগ, যা সৌদি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কগুলোর বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করবে। এছাড়া প্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা দুদেশের উদ্ভাবন ও প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মোট রেমিট্যান্সের প্রায় ৩০ শতাংশ আসে সৌদি আরব থেকে এবং দেশটির উন্নয়ন কার্যক্রমের ব্যাপকতা প্রকৌশল, তথ্য-প্রযুক্তি সেবা, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতে বাংলাদেশ হতে আরো অধিক সংখ্যক দক্ষ মানবসম্পদের পাঠানোর সুযোগ তৈরি করেছে। বিদ্যমান অবস্থার আলোকে বাংলাদেশ থেকে আরো বেশি হারে দক্ষ মানবসম্পদ নেওয়ার জন্য সৌদি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ব্যারিস্টার সামীর সাত্তার।
দীর্ঘস্থায়ী অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব সম্প্রসারণে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পাশাপাশি শিক্ষা, সংষ্কৃতি ও পর্যটন খাতে দুদেশের সহযোগিতা আরো বৃদ্ধির ওপর জোরারোপ করে ঢাকা চেম্বার সভাপতি বলেন, দুদেশের বাণিজ্য সংগঠনসমূহের মধ্যকার যোগাযোগ আরো সুদৃঢ়করণ এবং নিয়মিত ভিত্তিতে বাণিজ্য প্রতিনিধিদল প্রেরণের মাধ্যমে নতুন বাণিজ্য সম্ভাবনা খুঁজে পেতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণের অভিযাত্রা অপার সম্ভাবনা দ্বার উন্মোচন করেছে, যেখানে সৌদি আরবের কৌশলগত ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা আমাদের এ অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে সহায়ক হবে।