সূত্র মতে, নিলামে মীর আক্তার হোসাইন লিমিটেডের কাট অব প্রাইস (প্রান্ত মূল্য সীমা) ৬০ টাকা নির্ধারিত হয়েছে। নিয়ম অনুসারে কাট অব প্রাইসের দর থেকে ১০ শতাংশ কম দরে নির্ধারিত হবে আইপিওর শেয়ারের দর। সে হিসাবে ১০ শতাংশ কমে শেয়ারের দর দাঁড়ায় ৫৪ টাকায়। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির শেয়ার পেতে আবেদন করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, কোম্পানিটির বিডিং অর্থাৎ নিলাম শুরু হয় গত ৪ অক্টোবর বিকেল ৫টায়। চলে ৭ অক্টোবর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। নিলামে যোগ্য ২৪৫ বিনিয়োগকারী কোম্পানির শেয়ার পেতে আবেদন করেন।
নিলামে কোম্পানিটির শেয়ার পেতে সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৯৮ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১৪ টাকায় বিট করেছেন যোগ্য বিনিয়োগকারীরা। সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে ৫০ টাকা দরে। এই দরে আবেদন করেছেন ২৪ জন বিনিয়োগকারী। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭ জন ৬১ টাকায় দর প্রস্তাব করেছেন।
টানা ৭২ ঘণ্টা নিলামে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দকৃত ৬৮ কোটি ৯১ লাখ টাকার বিপরীতে ২৪৫ বিডার মোট ২১০ কোটি ৬৭ লাখ টাকার দর প্রস্তাব করেছেন।
প্রয়োজনের তুলনায় যোগ্য বিনিয়োগকারীদের ৪০৯ শতাংশ বেশি আবেদন জমা পড়ে। এই বিনিয়োগকারীরা ১ কোটি ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৭৪৭ টাকার শেয়ার পাবেন।
কোম্পানিটি সর্বমোট ২ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৪৭টি শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে ১২৫ কোটি টাকা উত্তোলন করবে।
চলতি বছরের ১৩ আগস্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৩৫তম সভায় কোম্পানিটির বিডিংয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, মীর আক্তার হোসেন আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১২৫ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি সরঞ্জামাদি ও যন্ত্রপাতি ক্রয়সহ ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।
কোম্পানিটির ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৬ দশমিক ৩২ টাকা। ২০১৯ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির যথাক্রমে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতিসহ) ৩৪.৭১ টাকা ও শেয়ারপ্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতি ব্যতীত) হয়েছে ৩৩.৬৩ টাকা।