প্রথম ধাপে রংপুর, সিলেট, বরিশাল বিভাগের ১৮ জেলায় একযোগে পরীক্ষার হলে বসেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা।
জেলাগুলো হলো, রংপুর, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার। এসব জেলায় মোট কেন্দ্র ৫৩৫টি আর পরীক্ষার কক্ষ সংখ্যা আট হাজার ১৮৬টি।
পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ১৮ জেলার প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সার্বিক সহযোগিতায় প্রশ্নফাঁসমুক্ত পরীক্ষা সম্পন্ন হবে বলে প্রত্যাশা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের। তিনি পরীক্ষার কাজে সংশিষ্ট সবাইকে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সার্বিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্নের জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি শেষ। প্রতিটি কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।
এদিকে পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে তিন বিভাগে পরীক্ষা কার্যক্রমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন তিনজন অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা। রংপুর বিভাগের অধীন সব জেলার পরীক্ষা কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করছেন বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিটের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. মিজানুল হক চৌধুরী। সিলেট বিভাগের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোছা. নূরজাহান খাতুন এবং বরিশাল বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আকতার খান।
অন্যদিকে নিয়োগ পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে তিন বিভাগের প্রতিটি কেন্দ্রে অর্থাৎ ৫৩৫টি কেন্দ্রেই ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। পরীক্ষা সংক্রান্ত জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্টদের ০২-৫৫০৭৪৯৬৯ নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ জানিয়েছে অধিদপ্তর।
প্রতি পদের বিপরীতে লড়ছেন ১৩০ প্রার্থী
প্রথম ধাপে পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন চাকরিপ্রার্থী। এ ধাপে বরিশাল, রংপুর ও সিলেট বিভাগের ৭২ উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী- ৩ বিভাগের সরকারি প্রাথমিকে শূন্য পদ রয়েছে দুই হাজার ৭৭২টি। সেই হিসাবে প্রতি পদের বিপরীতে লড়ছেন ১৩০ জন। তবে কোটা সুবিধার কারণে নারী প্রার্থীরা নিয়োগের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবেন।