সোমবার (১২ অক্টোবর) বেলা ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন বিনা নোটিশে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ইন্টারনেট ও ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক অপসারণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের বাসাবাড়ি, অফিস ও ব্যাংকসহ সব পর্যায়ে ইন্টারনেট ডাটা কানেক্টিভিটি এবং ক্যাবল টিভি বন্ধ রাখার প্রতীকী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) ও ক্যাবল অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)।
বক্তারা জানান, ডিএসসিসি বিনা নোটিশে বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে ইন্টারনেট ও ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক অপসারণের হঠকারী সিদ্ধান্তের এ কারণে গত দুই মাসে রাজধানীর মগবাজার, সায়েদাবাদ, জিরো পয়েন্ট, ধানমন্ডি, পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ২০ কোটি টাকার ক্যাবল সংযোগ দিতে হয়েছে। এতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ইন্টারনেট ক্যাবল টিভি অপারেটর ব্যবসায়ীরা।
আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম লিখিতভাবে পাঁচ দফা দাবি জানান। দাবিগুলো হলো: লাস্ট মাইল ক্যাবলের স্থায়ী সমাধান না করা পর্যন্ত কোনো ঝুলন্ত ক্যাবল অপসারণ করা যাবে না। আইএসপিএপি, কোয়াব, বিটিআরসি, এনটিটিএন এবং সিটি করপোরেশনের সমন্বয়ে লাস্ট মাইল ক্যাবল স্থাপন করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে একটি কমিটির মাধ্যমে সরেজমিন তদন্ত ব্যবস্থা করতে হবে। সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাসাবাড়ি, অফিস, ব্যাংকসহ সব পর্যায়ে ইন্টারনেট ক্যাবল টিভি সেবার দাম নির্ধারণ করতে হবে। গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট পরিষেবা স্বল্পমূল্যে দিতে এনটিটিএনের মূল্য সরকার থেকে নির্ধারণ করতে হবে। গ্রাহক পর্যায়ে নিরবচ্ছিন্ন সেবার নিশ্চয়তা দিতে এনটিটিএনগুলোর সার্বিক সফলতা আছে কিনা তা যাচাই ব্যবস্থা করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানান, যোগাযোগ প্রযুক্তি ছাড়াও বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষা ও চিকিৎসা, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ খাতে ইন্টারনেট কার্যকর ভূমিকা রাখছে। এর মধ্যে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ভিডিও কনফারেন্স, শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাস, অনলাইনে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়-বিক্রয়, বাড়িতে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন সেবা নিচ্ছেন গ্রাহকরা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন বিনা নোটিশে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ইন্টারনেট ও ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক অপসারণের কারণে আজ গ্রহকরা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।