আজ শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে সিলেট নগরের তোপখানা এলাকায় মৎস্যজীবী লীগের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেপ্টেম্বরে আমরা জাতিসংঘে গিয়েছিলাম। তখন অনেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। তারা আমাদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করছেন। আমাদের একটা রেওয়াজ আছে, আমাদের সঙ্গে দেখা করলে একটা থ্যাংক ইউ নোট দেই। সেই থ্যাংক ইউ নোট দিছি।
ব্যক্তিগত চিঠি গণমাধ্যমে প্রকাশ করায়, তা লজ্জার বিষয় হিসেবে দেখছেন ড. মোমেন। তিনি বলেন, আমরা যেগুলো আলাপ-আলোচনা করেছি সেগুলো বলেছি। আর এটা এক্কেরে আকামা…। পারসোনাল লেটার দিয়ে দিয়েছে। এটা বড় লজ্জার বিষয়। আমাদের দেশে অনেক লোক আছে এরা দেশের শত্রুর মতো অবস্থা।
‘কিছু বাহবা পাওয়ার জন্য যা পায় মিডিয়াতে নিয়ে আসে। সেটা খুব দুঃখজনক। পারসোনাল লেটার সেটা দিয়ে দিয়েছে।’ বক্তব্যে যোগ করেন মোমেন।
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন মহল থেকে ‘অযৌক্তিক’ রাজনৈতিক চাপের কথা উল্লেখ করে জাতিসংঘের মহাসচিবের দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশ বিভিন্ন মহলের কাছ থেকে ‘অযাচিত’, ‘অযৌক্তিক’ ও ‘আরোপিত’ রাজনৈতিক চাপের মুখোমুখি হচ্ছে।
গত ১৯ নভেম্বর পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিউইয়র্কে জাতিসংঘ মহাসচিবের নির্বাহী দপ্তরের শেফ দ্য কেবিনেট আর্ল কুর্টনি রেটরের কাছে এই চিঠি পাঠান। চিঠিটি গত ২০ নভেম্বর জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের মাধ্যমে আর্ল কুর্টনি রেটরের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।